বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা বেশকিছুদিন যাবৎ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। মাঝে ২,১ দিন একটু ভালোর দিকে গেলেও স্থায়ী কোনো ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছেনা। তাকে বিদেশ চিকৎসার জন্য অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও আদালত অনুমতি দেয়নি। সম্প্রতি গতকাল রাত থেকে আবার তার অবস্থা খারাপ হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল রাত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এবার তার অবস্থা আরও সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিএনপি’র মহাসচিব। তিনি বলেন, তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আর দেরি না করে সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে বিদেশে নেয়া প্রয়োজন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, কারাগারে থাকার সময় কোনো চিকিৎসাই হয়নি তার। সুস্থ অবস্থায় কারাগার গেছেন। তিনি আরও বলেন, এই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আস্থা নেই যার জন্যই সবাই বিদেশ যাচ্ছে।
এসময় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র চলছে। একনায়কতন্ত্র চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ভালো শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হতে পারে না। শুধু সরকারের পক্ষে থাকলেই চাকরি পাওয়া যায়।
যদিও এসব ভিত্তিহিন আইন আইনের কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে আগেই আ.লীগ থেকে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে বেগম জিয়ার অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার জীবন সংকটাপন্ন। দ্রুত বিদেশ চিকিৎসার দাবি বিএনপির। যদিও আদালত সেই নির্দেশনা দিচ্ছে না। তবে অবস্থা যেহেতু খারাপের দিকে এখন দেখার অপেক্ষা আদালত কী করে।