খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নাইকো মামলায় সাজা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার মামলা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রীয় হিংস্র”তা এবং ব”র্বরতার শিকার।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড বলেছে, দেশে তার চিকিৎসা আর সম্ভব নয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, তখন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষা করছেন কখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাজা হতে পারে। সে বিবেচনায় রাষ্ট্রপক্ষ এমন কিছু কাজ করছে, যা এখতিয়ারের বাইরে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিশেষ আদালতে হাজির হন রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি এবং এখনও বলছি যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেলের দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় প্রবেশ বা থাকার কোনো এখতিয়ার নেই। দুদক আইনে স্পষ্ট বলা আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। তাদের নিজস্ব আইনজীবী আছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এমন কিছু কাজ রাষ্ট্রপক্ষ করছে, যা এখতিয়ারবহির্ভূত। যেমন রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মঙ্গলবারও (১০ অক্টোবর) ওই স্পেশাল আদালতে গিয়ে হাজির হন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। ২০১৮ সালের মতো, তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত মাহবুব আলম একটি আবেদন করেছিলেন (নিজের স্বাক্ষরে)। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বিদেশী সাক্ষীদের এ দেশে আনা। যা এখতিয়ার ব্যতীত। দুদকের কোনো আপিল ছিল না। অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি আবেদন ছিল। আমাদের অ্যাটর্নি জেনারেল কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। ২০১৮ সালের সেই ত্রুটিপূর্ণ প্রয়োগকে কার্যকর করতে এফবিআই কর্মকর্তা এবং কানাডিয়ান পুলিশ কর্মকর্তাদের আনার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছিল। এইযে কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, এগুলো আইনবহির্ভূত। ফৌজদারি কার্যবিধির কোথাও নেই, তবুও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার জন্য শেখ হাসিনা অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়াকে NAICO মামলায় সাজা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ব্রিফিংকালে সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, অ্যাডভোকেট কে আর খান পাঠান, অ্যাডভোকেট মোঃ মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সুজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।