দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি। দেশের চিকিৎসকদের মতে তার এখন বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন না হলে জীবন নিয়ে টানাটানি। তবে বর্তমান সরকারের মতে তিনি দেশেই সবথেকে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বিএনপি আবেদন করে হাসতেছে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু আইনি বাধার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মাঝে যেন আগুনেরই ঢালার মতো কথা বললেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবির আইনি ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার রাজধানীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের দাবির কোনো আইনি সমর্থন নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কোনো স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী শিগগিরই তার মতামত জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে খালেদা জিয়াকে চিকিত্সার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল একটি স্মারকলিপি দেন।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে রাষ্ট্রপতি যা নির্দেশ দেবেন সরকার তা করবে।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ও সরকারের মতামতের মধ্যে মতানৈক্য থাকতে পারে।’
আইনমন্ত্রীর এমন কথা যেন আগুন ঘী ঢেলে দেওয়ার মতো। তাহলে কি খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা সম্ভব হবে না! কিন্তু বিএনপি’র মতে দেশে চিকিৎসা চললে খালেদা জিয়াকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। তিনবার নির্বাচিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আদতেও বিদেশে চিকিৎসা করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে হয়ে গেল এখন নতুন প্রশ্ন। তবে এখন দেখার বিষয় শেষমেশ কি হয়।