বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট লেবার দলীয় এমপি আফসানা বেগম কাউন্সিলে হাউসিং এ আবেদনের সাথে সম্পর্কিত তথ্য কাউন্সিলের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থতার কারণে তিনি একাধিক অভিযোগে লন্ডনের ক্রাউন কোর্ট এ বিচারের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং আরো নানান অভিযোগ উঠে আসে এই এমপির বিরুদ্ধে এবং এই মামলার বাদী ছিল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল তবে গত শুক্রবার আদালত তাকে নির্দোষ হিসেবে রায় দিয়েছে এবং রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন
জালিয়াতির মামলা থেকে খালাস পেলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার দলীয় এমপি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম। অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার পর আদালতে কেঁদেছেন লেবার দলীয় এমপি আফসানা। পপলার এন্ড লাইমহাউস সংসদীয় এলাকার এমপি আফসানা বেগমকে আদালতের জুরি বোর্ড নির্দোষ ঘোষণা করার সাথে সাথে তিনি আদালতের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টের দর্শক গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকের একাংশ করতালি দিয়ে রায়কে স্বাগত জানান। এসময় বিচারক মিসেস হুইপল খুব দ্রুত আদালতে নীরবতা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।
কাউন্সিলে হউজিংয়ের আবেদনের সাথে সম্পর্কিত তথ্য কাউন্সিলের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সঠিক সময়ে জানাতে ব্যর্থতার তিনটি অভিযোগে লন্ডনের স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টে চলতি সপ্তাহে বিচারের মুখোমুখি হন ৩১ বছর বয়সী আফসানা বেগম। ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিন মেয়াদের হউজিং বিষয়ক তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ করা হয় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই এমপি’র বিরুদ্ধে।
মামলার বাদী ছিল টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, আফসানা বেগমকে সেই সময়ে ঘরের ব্যবস্থা করতে গিয়ে হউজিংয়ের তালিকায় থাকা অন্য আবেদনকারীকে বিকল্প স্থানে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। এই কাজে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ৬৩,৯২৮ পাউন্ড ব্যয় হয়েছিল। বাংলাদেশী টাকায় যা ৮০ লাখ টাকা প্রায়।
আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এক বার্তায় আফসানা জানান, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত বিদ্বেষপূর্ণ ছিল। যা আমার সুনাম নষ্টের জন্য। বিষয়টি আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আফসানা তাঁর দল, সমর্থক এবং আইনী লড়াইয়ে যারা পাশে ছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
জালিয়াতির মামলা থেকে অবশেষে খালাস পেলেন এবং আদালত থেকে কেঁদে বের হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দলীয় এমপি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আফসানা বেগম। এমপি আফসানাকে আদালত নির্দোষ ঘোষণা করার পরপরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই সময়টাতে ক্রাউন কোর্টের দর্শক গ্যালারিতে বসে থাকা অনেকেই তাঁকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানায় এবং এই রায়ের প্রতি তারা সমর্থন প্রদান করে