সম্প্রতি পুলিশের তৎপরতায় খারাপ পাড়ায় বিক্রি হওয়া ১৮ বছর বয়সী কিশোরীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার করার পর ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় থানায় এসে এক যুবক ওই কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেন। এরপর পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই কিশোরী এবং যুবকের বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কুমিল্লার মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছামিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে মেঘনা থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় দুই লাখ টাকার কাবিনে পাবনার ওই যুবকের বিয়ে হয়।
বিবাহিত যুবকের নাম বিল্লাল হোসেন। তিনি একটি ডেইরি ফার্মে চাকরি করেন।
জানা গেছে, পাবনার খারাপ পল্লীতে থাকাকালীন বিল্লাল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। পরে বিল্লাল পাবনা থেকে মেঘনা থানায় এসে উদ্ধারকৃত তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ সময় মেয়েটির বাবা-মাকে খবর দিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বিয়ের কথা জানালে তারাও রাজি হয়। এ সময় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মেয়ের বাড়িতে দুই লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছামিউদ্দিন জানান, কুমিল্লার মেঘনা এলাকায় কাজ করতে আসা কাউসার নামের এক রাজমিস্ত্রির সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গত ১৯ নভেম্বর প্রেমিক কাউসারের ফাঁদে পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে। পরে তার প্রেমিক কাউসার তাকে পাবনার একটি খারাপ পাড়ায় বিক্রি করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটির পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে রোববার (৪ ডিসেম্বর) মেঘনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরে মেঘনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেনকে ডায়েরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পাবনা থানা পুলিশের সহায়তায় সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে পাবনা শহরের একটি খারাপ পাড়া থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ওই মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ। এরপর পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থেকে ওই যুবকের সাথে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়। এদিকে প্রতা’রক প্রেমিকের সন্ধানে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।