সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ভাগনাকে প্রয়াত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মানুষের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের আপন মনুষের অপরও মানুষ ব্যায়বিচার করতে পারে তারই প্রমাণ মামা ভাগনার এই ঘটনা। অপরাধ করে মামা আ/ত্মগো”পন করলেও শেষ রক্ষা হলো না তার।
যৌথ অভিযানের চারদিন পর ডেমরার ( Demra ) রাজাখালী এলাকা থেকে এসআই হারেজ, এসআই ইকবাল ও এসআই সেলিম মিয়াকে ( Selim Mia ) গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা পুলিশ।
রবিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ( Bancharampur ) থানার নতুন আদি এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
নি/হত ওমর ফারুক একই এলাকার আব্দুল ( Abdul ) আউয়ালের ছেলে। তারা ডেমরার ( Demra ) ছোট পাই এলাকায় ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে, চাচা নি/হত ওমর ফারুক ও তার মা ভাঙ্গারি ( Bhangari ) মালামাল সংগ্রহ করে বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চালাতেন। ১ মাস আগে ভাঙ্গারি ( Bhangari ) সংগ্রহ করতে গেলে আ/গুনে ওমর ফারুকের দুই পা পু/ড়ে যায়। এতে কুলসুম বেগম ( Kulsum Begum ) তার চিকিৎসার জন্য মানুষের কাছ থেকে ১০৩০ টাকা সাহায্য নিয়েছিল যা রবিন জানত।
কয়েকদিন আগে কুলসুম আসলে রবিনকে ( Robin ) টাকা চুরি করতে দেখেছিল। এ সময় তর্কাতর্কি করে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
গত বুধবার ২৩ মার্চ ( March ) সকালে অসুস্থ ছেলেকে বাড়িতে রেখে কুলসুম বাইরে থেকে তালা দিয়ে আবারও সাহায্যের জন্য বাইরে যান। একই দিন বিকেল ( Day afternoon ) ৩টার দিকে ওমর ফারুক রবিনকে ( Robin ) ( Omar Farooq Robin ) তার বাসা থেকে ১০৩০ টাকা চুরি করতে দেখেন। এ সময় রবিন তার ভাগ্নিকে থামানোর চেষ্টা করে, তাকে শ্বা/সরোধ করে হ/ত্যা করে এবং বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে রবিনের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখে প্রতিবেশী মাহমুদা বেগম কুলসুমকে ( Mahmuda Begum Kulsum ) ফোন করেন। এ খবর শুনে কুলসুম দ্রুত বাড়ি ফিরে দেখেন তার ছেলে মা/রা গেছে।
ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন ( Khandaker Nasir Uddin ) জানান, বৃহস্পতিবার ( Thursday ) ২৪ মার্চ ( March ) সকালে নি/হতের মা কুলসুম বেগম ( Kulsum Begum ) (৪০) বাদী হয়ে তার ভাই রবিনের বি/রুদ্ধে ডেমরা থানায় একটি হ/ত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ছোট পাইতি এলাকার হাবিবুর রহমানের ( Habibur Rahman ) বাড়ির পশ্চিম পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রোববার রবিনকে ( Robin ) আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনায় বাংলাদেশের ( Bangladesh ) মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে অনেক উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা যায় ঘটনা স্থলে। যেহেতু আসামী প্রয়াতের মামা তাই এমন ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেনে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত আসামীর দৃষ্টান্ত শা/স্তির দাবি জানিয়েছেন নি/হতের পরিবার।