সেক্রেড গেমস-এর জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুবরা সাইত। তাঁর ওপেন বুক: নট কোয়ায়েট অ্যা মেমোয়ার বইয়ে তিনি তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। বই অনুসারে, কুবরা মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি খারাপ কাজের জন্য হয়রানির শিকার হন। প্রায় দুই দশক পর হয়রানির দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কুবরা বইটিতে লিখেছেন যে একজন মানুষ যে তার মায়ের বিপদের বন্ধু ছিলেন। আর সেই বিপদের বন্ধু হওয়ার ভান করেই তার সাথে এই রকমের ঘটনার উম্মোচন করেছেন।
কুবরা সাইত বলিউডের সেক্রেড গেমস-এ অভিনয় করেছিলেন, যদিও তিনি সালমান খানের রেডি এবং সুলতান নামে দুটি সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন। এর আগেও তিনি বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। এবার ১৭ বছর বয়সে খারাপ কাজের জন্য হয়রানির শিকার হয়ে ফের নেট দুনিয়ায় আগুন লাগিয়ে দিলেন তিনি। প্রায় দুই দশক পর নিজের ভয়ঙ্কর দিনগুলোর কথা জানালেন সেক্রেড গেমস-এর অভিনেত্রী। তিনি তার ওপেন বুক: নট কোয়ায়েট এ মেমোয়ার’ বইয়ে লিখেছেন। ওই বইয়ে তিনি লিখেছেন, তখন আমার বয়স মাত্র ১৭ বছর। আমার মায়ের বিপদে বন্ধু হিসেবে একজন আমাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। লোকটা আমাকে হয়রানি করতে থাকে। ওই সময় ওই ব্যক্তির বিভিন্ন হুমকি-ধমকিতে আমি অনেক বছর চুপ ছিলাম। তবে নিজের নাম না লিখে শুধু পারিবারিক বন্ধুর মুখোশ খুলে দেন তিনি।
ওই বইয়ের পাতায় তিনি আরও লিখেছেন, আসলে প্রায় আড়াই বছর ধরে খারাপ কাজের জন্য নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তাকে। ওই ব্যক্তি তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ কারণেই ১৭ বছর বয়সী কুবরা তার মাকে সত্য বলার সাহস পাননি। লোকটি তার মায়ের কাছে দিনের পর দিন তার (কুবরা) সাথে অশালীন আচরণ করতে থাকে। তবে নিপীড়নের মাত্রা বাড়তে থাকলে তিনি তার মাকে সত্যটা জানান। তিনি এবং তার পরিবার নিয়মিত ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি রেস্টুরেন্টে যেতেন। সেই অর্থে, পরিবারটি রেস্টুরেন্ট মালিকের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়। লোকটিও তার মায়ের আর্থিক সমস্যায় পাশে দাঁড়িয়েছে। আর এ সুযোগে তার সঙ্গে নিয়মিত এই ধরনের হয়রানি শুরু করে। গাড়িতে প্রথম স্টার্ট। লোকটি পিছনের সিটে বসে তার শরীর স্পর্শ করল। কিশোরী কুবরা ভীত এবং অস্বস্তিকর ছিল। এরপর নিয়মিত তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার পথে মায়ের সামনে গালে চুমু খেতেন। মা ভাবলেন, সব স্নেহ দিয়ে আদর করতে।
শুধু তাই নয়, ঘটনার সূত্রপাত ওই কিশোরের সঙ্গে। তারপর সে তার পরিবারকে সাহায্য করা বন্ধ করে দেয়। অভিনেত্রী বাকুনিও খান একজন অভিনেত্রী। তাই সব জেনেশুনে গোপন রেখেছিলেন। বিবাহিত অবস্থায় এক সন্তানের বাবার সেই আড়াই বছরে আরেকটি সন্তান হয়েছে সেই পরিবারের ‘বন্ধু’! এবার তিনি তাঁর বইয়ে লেখার ভাষায় এই সত্য প্রকাশ করলেন। পদ ছাড়ার পর তিনি কী করবেন তা এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, মায়ের বিপদের একমাত্র বন্ধু হিসেবে ঘনিষ্ট হয়েই অভিনেত্রীর সাথে সুযোগ নিয়েছিলেন এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী নিজেই। তার বাসায় এসে নানা সময়ে নানা ধরনের নিপিড়নমুলক কৌশল অবলম্বন করতেন তার মায়ের বন্ধু। অনেক সময় তার সামনেই এই সকল অনৈতিক কর্মকান্ডে কিছু অংশ প্রকাশ পেলেও তার মায়ের ধারনা ছিল এইটা শুধুই স্নেহ। অপরদিকে মা-বাবার ক্ষতি করতে পারে এমন হুমকিকে সে কাউকে বলতেও পারেনি বিষয়টি। অবশেষে তিনি এই সংক্রান্ত একটি বই প্রকাশ করেছেন যা নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ঝড় তুলেছে।
সূত্র: আনন্দবাজার