খারাপ কাজের শিকার হয়ে অনেক তরূনী সন্তান সম্ভবা হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটছে দেশের কোথাও না কোথাও। এই সকল ঘটনায় অনেক সময় দায়ী ব্যক্তি সন্তানের পিতা হিসেবে নিজের বিষয়টি স্বীকার করলেও অনেক সময় অনেকে অস্বীকার করেন। তবে বিবাহ বহির্ভূত বিষয়টি নিয়ে আইনের দিক থেকে অপরাধ। এবার নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলায় এক ইমামের কুকর্মের শিকার হয়ে অন্ত:স”ত্বা হয়ে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বারহাট্টা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৩ নভেম্বর) মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নবজা”/তক ও তার মা দুজনেই সুস্থ আছেন। পরে একই দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট নিয়ে বাসায় চলে যান তারা। মঙ্গলবার রাতে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী।
অভিযুক্ত হাফিজ নূর আহমেদ (৫৭) বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের প্রয়াত মগল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ নূর আহমেদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের শানারপাড় এলাকায় থাকেন। তার মা থাকেন নিজ বাড়ি নেত্রকোণার বারহাট্টার মল্লিকপুরে। মাঝে মাঝে মাকে দেখতে বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করেন। তিনি সেই সময় বেশ কিছুদিন ওই এলাকায় থাকেন। বিভিন্ন কাজের অজুহাতে সে পাশের বাড়ির এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীর সাথে অপকর্ম করে। এ বিষয়ে কাউকে না বলার হু”মকি দেন তিনি। এ ছাড়া নূর আহমেদ ওই তরুণীকে বিভিন্ন লাল”সা দেখান। একপর্যায়ে ঐ তরুনী ৭ মাসের অ”ন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নূর আহমদকে জানালে তিনি কয়েকজন প্রতিবেশীকে অনাগত সন্তানকে নষ্ট করার পরামর্শ দেন। এমনকি সন্তান তার নয় বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
বারহাট্টা উপজেলার সিংহদা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য লালন বখত মজুমদার জানান, নুর আহমদ ইমাম হলেও নারী কেলে”ঙ্কারির অনেক ঘটনা রয়েছে। বর্তমানে বিদেশে লোক পাঠাচ্ছেন। খারাপ কাজের মামলায় প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। এ ঘটনায় ক’ঠোর শা”স্তির দাবি জানান তিনি।
তরুনীর মা বলেন, আমি খুবই অসহায় নারী। আমার ৭ সন্তানের মধ্যে ৫ জন প্রতিবন্ধী। আমার স্বামীর প্রয়ানের পর তাদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
মোহাম্মদ লুৎফুল হক যিনি বারহাট্টা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, যেহেতু সন্তান জন্ম দিয়েছেন ঐ তরুনী। এখন আদালত বিচারিক কার্যে যদি অনুমতি দিয়ে থাকে তাহলে অভিযুক্ত, ঐ তরুনী ও সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় অন্য কোন সমাধান রয়েছে কিনা সে বিষয়েও মতামত জানা হয়েছে স্থানীয় দের।