ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায উপজেলায় জোর করে খারাপ কাজ করার ভিডিও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রকাশ করে দিবে এমন হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে এক নারীর সাঠে বেশ কয়েকবার খারাপ কাজ করে রায়হান ভূঁইয়া নামের এক যুবক। এই ঘটনায় ঐ যুবককে গ্রে”ফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর ঐ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ঐ যুবক ঐ নারীর সাথে অন্য রকম সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
রোববার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশ তাকে আটক করে। সে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের ইয়ার হোসেন ভূইয়ার ছেলে।
ঐ নারী জানান, স্বামী নিষিদ্ধ দ্রব্যে আসক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে আজমপুর পিত্রালয়ে বসবাস করছেন। তার বাবা গরিব হওয়ায় পাশের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন তিনি।
একপর্যায়ে রায়হানের কুদৃষ্টি পড়ে ওই নারীর ওপর। ওই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে রায়হান তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে ওই নারী রাজি না হলে রায়হান ক্ষি”প্ত হয়ে তার সন্তানকে নিথর করে তার দেহ গু”ম করার হুম’/কি দেন।
ওই নারী জানান, রায়হান তাকে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকবার শারী”রিক সম্পর্ক করে। পরে রোববার দুপুরে রায়হান আজমপুর গ্রামের লোকমান মিয়ার বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে খারাপ কাজ করে এবং গোপনে তার মোবাইল ফোনে সেই খারাপ কাজের ভিডিও ধারণ করে।
খারাপ কাজের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হু”মকি দিয়ে ওই নারীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন তিনি। এ সময় ভিডিওটি মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবি”তণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত রায়হান পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যার কিছু সময় আগে ঐ নারী নিজে বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আসাদুল ইসলাম যিনি আখাউড়া থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনা সম্পর্কে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমে বলেন, অভিযুক্ত যুবক রায়হানকে মামলা দায়েরের পর গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন তিনি কারাগারে আছেন।