ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলায় ২৮ বছর বয়সী মোঃ আতাউর রহমান নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন ওই শিক্ষকেরই একজন ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর সকালের দিকে মিজানুর রহমান আকন্দ যিনি নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গেল বুধবার অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর রাতের দিকে ওই উপজেলার খারুয়া ইউনিয়ন এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ অঙ্গ কর্তন করা ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বাড়ি ওই একই ইউনিয়নের বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার জেরে ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় জনগণ আটক করে এবং তাকে থানায় গিয়ে পু’লিশের নিকট সোপর্দ করেন। পরে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে নান্দাইল থা’নায় এ ঘটনায় ছাত্রকে আসা/মি করে মা’মলা করেছেন আ/হত শিক্ষকের বাবা।
পু’লিশ হেফাজতে থাকা শিক্ষার্থীর দাবি, শিক্ষক আতাবুর রহমান বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে খাবারের দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে চান ছাত্রকে। পথিমধ্যে তিনি ছাত্রকে কাছে টেনে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত বোলাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলা’ৎকারের চেষ্টা হলে ছাত্র পকেটে থাকা ‘নেইল কাটার’ দিয়ে শিক্ষকের পুরু/ষা’ঙ্গে আ’ঘা/ত করেন। এরপর পালাতে গেলে লোকজন ছাত্রকে ধরে পু’লিশে সোপর্দ করে। পরে রক্তা’ক্ত অবস্থায় শিক্ষক আতাবুরকে উদ্ধার করে এলাকার লোকজন হাসপাতালে নেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনার ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পুলি’শ জানায়, বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে খারুয়া ইউনিয়নের টাওয়াইল গ্রামে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। মাদরাসা মাঠের সেই মাহফিলে অন্যদের পাশাপাশি অংশ নেন শিক্ষক ও ছাত্র। আবাসিক ছাত্রকে রাতে মাদরাসায় না পাঠিয়ে নিজ বাড়িতে নেয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষক। তখন পুরু’ষাঙ্গ কর্তনের ঘটনা ঘটে।
মিজানুর রহমান আকন্দ যিনি নান্দাইল থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ঐ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ার সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আ/হ’ত হওয়ার পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।