জোর পুর্বক এক কিশোরী গৃহবধুর শ্লীলতাহানি করেছেন ৩৫ বছর বয়সী এক প্রতিবেশী। ভুক্তভোগী কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। ভুক্তভোগীকে বেশকিছুদিন যাবৎ উত্তাক্ত করে আসছিল আব্দুল হান্নান নামের এক প্রতিবেশী। ঘটনার পরে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
খারাপ কাজের শিকার হয়েও ঘটনাটি চাপা দিয়েছেন রাজশাহীর তানোর উপজেলার ১৫ বছরের এক গৃহবধূ। নির্যাতিতা নিজের সংসার এবং নিজেকে বাচাঁতে এই কাজ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বামী ঘটনাটি জানতে পারায় তার সংসার ভেঙে যায়। ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি উপজেলার অমৃতপুর এলাকায়। নয় মাস আগে তানোর উপজেলার হরিপুর এলাকায় তার বিয়ে হয়। গত ২৪ জুন দুপুরে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল হান্নান (৩৫) বাড়িতে ঢুকে তাকে খারাপ কাজ করে। ঘটনা জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেন আব্দুল হান্নান। খারাপ কাজের শিকার হওয়ার পর বিপর্যস্ত কিশোরী। চার দিন পর ২৭ জুন স্বামীকে ঘটনাটি জানান। এরপর তার স্বামী তাকে তালাক দেয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে তানোর থানায় একটি খারাও কাজের মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই অভিযুক্ত আব্দুল হান্নানকে আটক করে পুলিশ।
অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান হরিপুরের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। আব্দুল হান্নান দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের পর থেকে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন। ২৮ জুন সকালে তার স্বামী তার বাবাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। ঘটনাটি জানতে পেরে খারাপ কাজ করা আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তানোর থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরে এক কিশোরী গৃহবধুকে খারাপ কাজের উদ্দেশ্যে নানান ভাবে হেনস্তা করে আসছিল। একদিন স্বামী বাড়ি থেকে বের হতেই খালি বাড়ি পেয়ে ১৫ বছর বয়সী কিশোরী গৃহবধুকে জোরপুর্বক খারাপ কাজ করে। নিজের জীবন বাঁচাতে এবং সংসার টিকাতে এই ঘটনা চেপে গেছিলো সেই গৃহবধু। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, স্বামী বিষয়ে জেনেই কিশোরীকে তালাক দেয়।