ঢাকা রাজধানীর মিরপুর থেকে কেনাকাটা করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুই বোনকে মারধর ও তাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সেলিম ওরফে সেইলা নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মুহুর্তে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ঐ দুই বোন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সংবাদ মাধ্যমকে এতথ্য নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।
গ্রেফতার মো. সেলিম সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত মহব্বত আলীর পুত্র। তিনি কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দুই বোন রাজধানীর মিরপুর থেকে কেনাকাটা করে সাভারের কাউন্দিয়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে তারা কাউন্দিয়া খেয়াঘাটে পৌঁছালে এলাকার প্রভাবশালী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম তাদের গতিরোধ করে বড় বোনের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় দুই বোন এর প্রতিবাদ করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেলিম।
আরও জানা যায়, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সেলিম ঘাটে থাকা পারাপারের নৌকা থেকে ছাতা নিয়ে ছোট বোনকে মারধর করতে থাকে। এ সময় বড় বোন বাধা দিলে তাকেও উপর্যুপরি ছাতা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সেলিম। এছাড়া সেলিমের ভাগনে রিপন মারধরের সময় তাকে সহযোগিতা করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সেলিম ও তার ভাগনে রিপন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাভারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড় বোন জানান, খারাপ ইঙ্গিত নিয়েই ওই ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। প্রতিবাদ করায় আমাদের দুই বোনকেই মারধর করেছে। পুরো শরীর ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছি না।
এদিকে এ ঘটনায় সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মা নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আর এ মামলার আলোকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে এরই মধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এছাড়াও সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।