বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হ/ ত্যা, গু/ ম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মিথ্যা নয়। সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশকে লাইসেন্স দিচ্ছে মন্তব্য করে হারুন বলেন, নির্বাচন কমিশন নামের প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত করে দিয়ে তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হক। কি দরকার, খামখা? প্রধানমন্ত্রী যতদিন রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করছেন ততদিন নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন নেই। পুলিশ প্রধানের আইজিপি করেছেন তিনি। তাদের অধীনে নির্বাচন দিয়েছেন। দরকার নেই. সংসদে আইন পাস হলে সেভাবেই নির্বাচন হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ সালের সম্পূরক বাজেট কমানোর প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় হারুন আরও বলেন, সম্প্রতি র্যাব মহাপরিচালকের সফর উপলক্ষে নিরাপত্তার নামে তার এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ছাত্রকে যেতে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেন যে পুলিশে কেউ খারাপ নয়, এটা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। একই দিন সম্পূরক বাজেটে জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ১৬ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। ১০ জন সংসদ সদস্য এই বরাদ্দ কমানোর দাবি জানান
সংসদের বিরোধী সদস্যরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হ/ ত্যা এবং গু/ মের অভিযোগ তুলেছেন। তারা এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং নির্বাচন কমিশনকে বিলুপ্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সোমবার (১৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে নিম্নকক্ষের বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরাও জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত দাবির বিরোধিতা করেন।
অন্যদিকে এ বিষয় নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, পুলিশের কেউ অন্যায় করলে মানবাধিকার কমিশন আজ নীরব থাকে। কোনো পুলিশ অন্যায় করলে সব পুলিশ একত্রিত হয়ে তাকে সমর্থন করে। ফলে বিচার বিভাগ অসহায় হয়ে পড়ে। অধিকার লঙ্ঘিত হলেও মানুষের যাওয়ার জায়গা নেই। পুলিশের জবাবদিহি প্রয়োজন। পুলিশের ধারণা অস্ত্রটি তার হাতে রয়েছে। এর কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তাদের রয়েছে সীমাহীন ক্ষমতা। তিনি সংসদে মানবাধিকার বিষয়ে একটি সর্বদলীয় বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।