বিশ্বব্যাংকের জানিয়েছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতির ‘লাল’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বিবেচনা করে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে এই ক্যাটাগরিতে রেখেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১৪টি দেশ এই ক্যাটাগরিতে রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য নিরাপত্তার হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরে তথ্য প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ছয় মাস অন্তর এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বড় অর্থনীতির দেশগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ এখনো তা করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্য কিনতে বাংলাদেশের মানুষকে তাদের গড় আয়ের অর্ধেক ব্যয় করতে হয়। দরিদ্র মানুষ খাবারের জন্য বেশি খরচ করে। দরিদ্র লোকেরা তাদের আয়ের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ খরচ করেন খাবার কেনার পেছনে।