প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ন বাংলাদেশের সুন্দরবন। এই বনে থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের জীবিকা নির্ভাহ করে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে এই সুন্দরবন ক্ষতির কবলে পড়েছে। এবং ক্রমশই ধ্বংসের দিকে পতিত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এই সুন্দরবন রক্ষা সহ এর সৌন্দর্স আর বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই বন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমার মনে মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে, সুন্দরবনটা নোয়াখালী পর্যন্ত গিয়েই কেন শেষ হয়ে গেল। কক্সবাজার পর্যন্ত নাই কেন। আসলে কক্সবাজার থেকে খেয়ে খেয়ে এটাকে নোয়াখালী পর্যন্ত নিয়ে ঠেকানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন খাওয়ার দোষ কারও ওপর দিয়ে লাভ নেই। কারণ, যারা খেয়েছে প্রয়োজনে খেয়েছে। এখনও খাচ্ছে। মায়ের দুধ খেয়ে আমরা বাঁচি। মায়ের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি যেমন মাকেও সুরক্ষা দিতে হবে, তেমনি দেশকেও রক্ষা করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সেভ আওয়ার সি, বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে ব্লু ইকোনমিক: সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্পর্কে আমরা কতোজন জানি। অথচ এটা আমাদের নিজস্ব একটি সাগর। সুন্দরবন সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ কতোটুকু জানেন। রয়েল বেঙ্গল টাইগার আমাদের জাতীয় সম্পদ। এসব আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আমরা তো এতো ধনী দেশ নই। তবুও দুই হাত ভরে টাকা দিচ্ছি, কিন্তু আমাদের গবেষকদের কাছ থেকে গবেষণা পাচ্ছি না। মৌলিক গবেষণায় আমাদের অবদান এতো কম কেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার প্রধানের পরিবেশ রক্ষায় আগ্রহ আছে। যদিও আমাদের সক্ষমতা কম। কিন্তু আমাদের সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মানুষকেও পরিবেশ রক্ষার প্রতি উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। অতীতের যে কোনো সরকারের তুলনায় আমাদের সরকার অনেক ভালো কিছু করছে। কারণ এই সরকারের একটা মাটির সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার এমন একটি রাজনৈতিক আদর্শের দলের সরকার, যার গোটা অস্তিত্বটাই মাটির সঙ্গে মিশে আছে। এই মাটিকে মুক্ত করে ফিরে আনার জন্যই এই দলের জন্ম।
সুন্দরবন বাংলাদেশের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের প্রথম সারির সৌন্দর্যপূর্ন স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এর সৌন্দর্য রক্ষায় এই খাতের গবেষনা কার্যে বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করছে। এছাড়াও দেশের আরও নানা খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষকদের জন্য প্রদান করছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং অর্থ।