খবর পেয়ে নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে জলদস্যুরা

বাংলাদেশী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা বন্দী হয়। জাহাজটিকে জিম্মি করার পর থেকে জলদস্যুদের সাথে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। এ অবস্থায় জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমন খবরে অভিযান বন্ধের জন্য নাবিকদের ওপর চাপ দিচ্ছে জলদস্যুরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত দুইদিন আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী এমভি আবদুল্লাহকে বেশ চাপের মুখে রেখেছে। যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহ’র দেড় মাইলের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে। ফলে জলদস্যুরা জাহাজের নোঙর তুলে আরও ভেতরে চলে গিয়ে তীরের মাত্র দেড় মাইল দূরে নোঙর করেছে। জলদস্যুরা এটাও বলেছে যে, বাড়াবাড়ি করলে জাহাজ তীরে তুলে দেবে। তবে দুই নৌবাহিনী এখনো বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে।

ক্যাপ্টেন আতিক জানান, নৌবাহিনীর চাপের কারণে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টা জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।


কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য ৪ মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থেকে ৪ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ তাদের কুমিল্লা আদালতে হাজির করলে বিচারক কিশোরদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে লাকসাম রেলওয়ে থানার সহকারী পুলিশ সুপার আতিক আহমদ চৌধুরী ও ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার টেলিগ্রাম থেকে মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৪ কিশোরকে আটক করে।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ উল্লাহ বাহার জানান, রোববার বিকেলে নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে তেজের বাজার শিহার নামক স্থানে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনার আগে রেলপথে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল কয়েকজন কিশোর। স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের ধাওয়া করলে তারা একটি স্কুল ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতর থেকে রেললাইনের ৩টি বিয়ারিং প্লেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ব্যাগের ভেতর থেকে পাওয়া জন্ম সনদের কপির ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। সোমবার দুপুরে ওই কিশোরদের আটক করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের পর ঘটনার মূল কারণ জানা যাবে। এছাড়া রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।