ক্ষমতা পেলে মানুষ যেন কেমন তার অপব্যবহার শুরু করে দেয়। বিভিন্ন জায়গাতেই দেখা যায় মন্ত্রী-মিনিস্টারদের ছেলেমেয়েরা অপ্রয়োজনে ক্ষমতার ব্যবহার করার মতো ঘটনা। সম্প্রতি বাগানে বাচ্চারা খেলার সময় সেখানে যেয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারে। তবে পার পায়নি সেই মন্ত্রীর ছেলে গণপিটুনিতে বেহাল দশা।
শিশুরা ভারতের বিহারের একটি বাগানে খেলছিল। বিজেপির এক মন্ত্রীর ছেলে তাদের সরাতে ফাঁকা গুলি চালায়। গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পদদলিত হয়ে শিশুসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরপর মন্ত্রীর ছেলেকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ প্রতিদিনের মতে, বিহারের পর্যটন মন্ত্রী নারায়ণ প্রসাদের একটি খামার বাড়ি রয়েছে চম্পারন জেলার হারদিয়া গ্রামে। অভিযোগ রয়েছে, বাড়ির বাগানে গ্রামের শিশুরা ক্রিকেট খেলছে এমন খবর পেয়ে মন্ত্রীর ছেলে বাবলু কুমার লোকজন নিয়ে সেখানে যান। এরপর তিনি শিশুদের ভয় দেখানোর জন্য পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি করেন। পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন এক শিশুসহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা বাবলুর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে। মন্ত্রীর নামের প্লেট খুলে ফেলা হয় এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গ্রামবাসীর হাত থেকে বাবলুকে উদ্ধার করে।
পশ্চিম চম্পারন জেলার পুলিশ সুপার উপেন্দ্র বর্মা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে মন্ত্রীর ছেলেও আহত হয়েছেন। তার আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিহারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
এদিকে, মন্ত্রী নারায়ণ প্রসাদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, একদল লোক তার খামার বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে তার ছেলে তাদের বাধা দিতে সেখানে যায়। কিন্তু তার ওপর হামলা হয় এবং তার লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে তার আততায়ীরা।
যদিও এ নিয়ে মন্ত্রীর রয়েছে ভিন্ন অভিযোগ সাথে অন্যরকম ঘটনার বিবরণ। তবে এটা আদৌ সত্যি কিনা সে সম্পর্কে রয়েছে এখনও সংশয়। তবে মন্ত্রীর ছেলে যে গুলি চালিয়েছিল এবং গণপিটুনির ঘটনা এটা তো অস্বীকার করার কোন পথ নেই। এখন দেখার বিষয় পুলিশি তদন্ত কি বলে, শেষমেষ ওই মন্ত্রীর ছেলের কোনো সাজা মেলে কিনা।