ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম ‘কিং খান’ খ্যাত অভিনেতা ও প্রযোজক শাকিব খান। অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মধ্যে গান গেয়েও ভক্তদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত নানা কারন নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে দেখা যায় তাকে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আবারও আলোচনা রয়েছেন এই তারকা।
শোনা যাচ্ছে, আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদনে করেছেন তিনি। তারকা বা যে কেউ চাইলে বিদেশে স্থায়ী হতেই পারেন। তবে এই তারকার রেখে যাওয়া সিনেমার কাজ বিদেশে শেষ করানোয় নিয়েই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু ক্ষোভের সাথে বলেন, কত বড় সাহস শাকিব খানের! পরিচালক প্রযোজককে এখন বাধ্য হয়ে বিদেশে গিয়ে করতে হচ্ছে ডাবিংয়ের কাজ।
বিশেষ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ঢালিউড তারকা আবেদন করেন সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের। যদিও অনুষ্ঠান শেষে দেশে ফিরে গলুই সিনেমার কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার।
চলচ্চিত্র প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, শাকিব প্রথমবারের মতো ভিসা পেয়েছে। এবার সেটা সে কার্যকর করতে চায়। কিন্তু পরবর্তীতে পরিচালককে ফোন করে জানালেন, শাকিব ওখানে সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করেছেন। তাকে কেউ না কেউ অনুপ্রাণিত করেছে।
বাংলাদেশি তারকাদের আমেরিকায় চলে যাওয়ার বিষয়টাকে মিডিয়া সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচক হিসেবে দেখেন না। অনেকেই মনে করেন ক্যারিয়ারের অনিশ্চয়তা এবং ব্যক্তিগত হতাশা থেকেই অনেকেই পাড়ি জমান বিদেশে। নিজ দেশের প্রতি ভালোবাসা না থাকার কথাও বলছেন অনেকে।
যারা সেখানে যাচ্ছেন, তাদের সংখ্যা বেশি না হওয়ায় এটা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে ভাবছেন অনেকে। তবে শাকিব খান বিদেশে নিজের প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণে নামায় তার বিষয়টি অন্যদের থেকে আলাদা। তবুও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এই ক্রান্তিকালে তার এমন সিদ্ধান্তকে ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক হিসেবে ভাবতে পারছে না সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই সিনেমা করার ঘোষণা দিয়েছেন শাকিব। আগামী জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হবে। টানা চিত্রায়ন শেষে আসন্ন ঈদেই আন্তর্জাতিকভাবে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ।
প্রসঙ্গত, বড় পর্দায় শাকিব খানের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৯৯ সালে ‘অনন্ত ভালবাসা’ সিনেমা দিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহনকারী অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এই মুহুর্তে তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ব্যবসায় সফল সিনেমা। ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন বহু নামিদামি পুরষ্কার।