জুমার দিনে সবাই নামাজ আদায় করছে। নামাজে শেষে অনেকেই মসজিদের বাহিরে চলে আসে। মসজিদের প্রায় কাছেই অবস্থিত। হঠাতই মুসল্লিরা ক্ষুদ্ধ হয়ে রতন সিদ্দিকীর বসায় হামলা শুরু করে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়। রাজধানীর উত্তরায় বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বিকেলে উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ৬/এ রোডে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার মোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুপুরে তিনি ড. স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন রতন সিদ্দিকী। এ সময় তার বাড়ির সামনে রাখা মোটরসাইকেলের জন্য গাড়িটি সরাসরি ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি। মোটরসাইকেল নাড়াতে ডা. সিদ্দিকীর চালক হর্ন দিয়ে পরে গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেলের মালিকের খোঁজ করেন।
জেলা প্রশাসক মোরশেদ আলম বলেন, এ সময় জুমার নামাজের পর বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে লোকজন বের হচ্ছিলেন। তাদের একটি অংশ সেখানে এসে হর্ন দিল। সিদ্দিকীর গাড়িচালক ও পরে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা ড. তিনি বলেন, তারা রতন সিদ্দিকীর বাড়ির গেট ভাংচুর করে এবং তার ওপর হামলার চেষ্টা করে।
হামলা প্রসঙ্গে অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর মেয়ে পূর্ণভা হক সিদ্দিকী এক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে দিয়ে বলেন, ‘আজ আমাদের বাড়ির সামনে আমার বাবার ওপর হামলা হয়েছে।
আজ জুম্মার পর আমাদের গেটের সামনে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, আমার বাবাকে ঘুষি মেরেছে, ধাক্কা দিয়েছে, নাস্তিক মালাউনকে হিন্দু বলেছে, আমার মাকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়েছে, আমাদের ড্রাইভার ও দারোয়ানকে আক্রমণ করেছে। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গাড়িতে ওঠার জন্য দুবার হর্ন বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন এসে বললো গাড়ি ঢুকতে দেবেন না।
মা বাবা গাড়িতে, গেটের সামনে বাইক। সরে যেতে বলেছে। সঙ্গে সঙ্গে বললেন, নামাজের সময় গাড়ি ঢুকবে না। বাবা গাড়ি থেকে নামার পর মালাউন তার মা ও বাবাকে হিন্দু নাস্তিক বলে গালি দেয়।
প্রফেসর। রতন সিদ্দিকী রাতে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমার স্ত্রী উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন। উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার হাছান মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।