ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ নিয়ে অপ্রত্যাশিত কান্ড ঘটিয়ে বিপাকে স্ত্রী

গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বামী স্ত্রীর পারিবারিক কলোহের জের ধরে স্ত্রীর বিশেষ অঙ্গ কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে স্বামী। স্বামী স্ত্রীর বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্ত্রীর কাপর সেলাইয়ের কাজে ব্যাবহৃত সিজার দিয়ে এক পর্যায়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গে আঘাত করেছে স্ত্রী। স্ত্রীর আঘাতের ফলে স্বামী তার নিজের বিশেষ অঙ্গ হারিয়েছেন এমনই একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুরের টঙ্গীতে। এ বিষয়ে স্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত (৩৪) রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি গ্রামের ইনসান আলীর মেয়ে। ভুক্তভোগী মনির হোসেন (৩৮) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বুদাগাজী বাড়ি গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তবে তারা টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। জানা যায়, বিয়ের পর থেকে মনিরের সঙ্গে ঝগড়া হতো সাথীর। গত ২৬ জুন রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাথী কাপড় সেলাইয়ের কাজে ব্যবহৃত কাঁচি দিয়ে মনিরের বিশেষ অঙ্গে আঘাত করে। ঘটনার সময়ে ভুক্তভোগীর বিশেষ অঙ্গ কেটে নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মনিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত সঙ্গী জানান, পরকীয়া সন্দেহে আমাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন মনির আমার বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। আমি রেগে গিয়ে আমার স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেছি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনছিলেন। তবে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন স্বামী মনির। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। স্ত্রী সন্দেহ করলো স্বামীকে আর স্বামী সন্দেহ করলো স্ত্রীকে। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, ঘটনার পর অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলা। পরে মামলায় সঙ্গীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে এক দম্পতির ভিতরে বেশকিছু দিন ধরে সন্দেহের জেরে কোলাহল চলছিল। এই কোলাহের জেরে প্রায়ই নিজেদের ভিতরে বাকবিতন্ডের সৃষ্টি হতো। সম্প্রতি নিজেদের ভিতরে আবারো বাকবিতন্ড সৃষ্টের কারনে স্ত্রীর বিশেষ অঙ্গ কাটার সিদ্ধান্ত নেন স্বামী। স্বামীর এমন সিদ্ধানের কথা বলে বুঝতে পেরে স্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী এমনটাই জানিয়েছেন স্ত্রী। এই বিষয়ে স্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।