এ কে আবদুল মোমেন হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সুদক্ষতার সহিত অন্যআন্য দেশের সাথে সুষ্ঠ পররাষ্ট্র সম্পর্ক বজিয়ে রেখেছে আর সেই জন্যই বাংলাদেশের সাথে সকল দেশের সম্পর্ক খুব ভালো পর্যায়ে রটেছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিদেশীরা শুধু নিজেদের স্বার্থে ফন্দিফিকির করে, তাদের জন্য এতটা লাফানো উচিত না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিদেশিরা নিজেদের স্বার্থে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। তাই বিদেশিদের কথায় ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। মঙ্গলবার (২৬ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আবদুল মোমেন রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশে থাকায় কার্যত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। যারা এই অপমান করেছে তাদের বলব, আপনারা ক্ষমা চান। আমি মনে করি তাদের স্বেচ্ছায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই অপরাধ এবং তাদের নিজেদের নোংরামি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। ‘
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের অনেক আলেম বিদেশীদের কথায় এড়িয়ে গেছেন। তারা মনে করেন এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। শুধু বিদেশীদের কথায় ঝাঁপিয়ে পড়া ঠিক নয়। ‘
বিদেশিরা কিছু বললে তা সত্যি হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “বিদেশীরা প্রায়ই অনেক চালাকি করে। স্বার্থের জন্য তারা অনেক কিছু করে। তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাদের (বিদেশিরা) ভিতরে এবং বাইরে আলাদা দেখায়।’
তিনি বলেন, “আমরা তা করি যা আমাদের দেশের জন্য ভালো এবং যা আমাদের জনগণের জন্য ভালো।” আমরা আমাদের জনগণের কথা ভাবি। আমরা আমাদের দেশের অবস্থান বিবেচনা করি। ‘
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
প্রসঙ্গত, অন্যের উপর ভরসা করে কোনো কিছু করতে যাওয়া মানে নিজের দুর্বলতার পরিচয় দেওয়া। নিজের আত্মসম্মানবোধ বিসর্জন দিয়ে অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া বা ধড়না ধরা দেশ ও জাতির ভাবমূর্তিকে পুরোপুরিভাবে নষ্ট করে দেয়। তাই নিজেদের যতটুকু যোঘ্যতা আছে তাই দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করেন অনেকে।