বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে বাকযুদ্ধ যেন লেগেই থাকে।বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে হরহামেশাই লেগে থাকে বিরোধী দলের নেতাদের বাকযুদ্ধ। আর এই তালিকায় সবার উপরে থাকে সব সময় দুটি নাম। যার একটি নাম হলো ওবায়দুল কাদের আরেকটি হলো মির্জা ফখরুল। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাব দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘উনি যা খুশি বলতে থাকুক। আমি আগেও বলেছি এসব কথার উত্তর দেওয়া প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনার (ওবায়দুল কাদের) বোধ হয় সময় শেষ হয়ে এসেছে, সেজন্য এখন প্রলাপ করছেন।
এসব বলে লাভ নেই। বিএনপি ও সমমনা জোট একটি লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে, তা হলো- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা এই সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন করতে চাই। আমরা অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। এটাই হচ্ছে মাধ্যম. এদিকে এ নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। ‘
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপির সুর আগে উষ্ণ ছিল, এখন নরম হয়েছে’ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব কথার জবাব দেওয়া ভালো মনে করি না। এগুলো মাঠে প্রমাণিত হবে। রাজপথে প্রমাণিত। সে পালানোর পথ খুঁজছে। তিনি আমাকে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
বিএনপি ভাঙনের সংকটের মুখে- আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব কথা বলা রাজনৈতিক দলের কাজ। মিথ্যা না বললে হবে না। আর আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি গতকাল বলেছি, ধাক্কা খাওয়া তাদের স্বভাব।
সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বৈরাচারী, ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী লুটেরাদের বিরুদ্ধে আমরা যে যুগপৎ গণআন্দোলন শুরু করেছি, তার অন্যতম শরিক জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার। এটি আমাদের রুটিন মিটিংগুলির মধ্যে একটি। চলমান আন্দোলনের ভবিষ্যত ও কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী ৪ তারিখ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গেলো কয়েকদিন আগে রাজশাহীর একটি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন ক্ষমতা হারালে আমরা পালাবো না। প্রয়োজন পড়লে মির্জা