গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান চলাকালে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব/ন্দুক দেখিয়ে কনেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিপা আক্তার (১৮), চাটিতলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে, ৫ নং ওয়ার্ড, আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন, কোন উপজেলার। সে দশম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম জুনায়েদ। সে একই গ্রামের উত্তর পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে নিপা আক্তার পার্শ্ববর্তী মনোহরগঞ্জ উপজেলার কাঠনি পাড়া বড়ল্লা গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে বদিউ আলমের সাথে গত ২৪ আগস্ট এক কৌশলে বিয়ে হয়। উদ্ধৃতি হলফনামা। বর-কনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার (সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কনেকে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের সময় কামাল হোসেনের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জুনায়েদ, আদ্রা উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল, ছাত্রলীগ নেতা মনসুরের নেতৃত্বে প্রায় ৭০/৮০ মুখোশধারী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কনের বাড়িতে আসে জিসান। বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করার পর নিপা আক্তারকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।
এ সময় তাদের হামলায় নিপা আক্তারের মা নয়ন বেগমসহ কয়েকজন আহত হন। তাদের চিৎকারে আততায়ীদের কেউ ভয়ে এগিয়ে আসেনি। নিপা আক্তারের বাবা আব্দুল কাইয়ুম ও মা নয়ন বেগম অভিযোগ করে বলেন, তারা ৯৯৯ নম্বরে ও থানায় ফোন করলেও কেউ সাহায্য করেনি। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলেও অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত একাধিক ব্যক্তির মোবাইল ফোনে ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহমুদ আকিল বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তাদের সঙ্গে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল বলেন, ঢাকায় ছাত্রলীগের সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের বাড়ি ওই গ্রামে হওয়ায় তাকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়েছি, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতার ও কিশোরীকে উদ্ধারে কাজ করছে।