নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের প্রতি ক্ষুব্ধ। তিনি ভারতকে তাদের নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানান শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অধ্যাপক।
ইউনূস বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে শেখ হাসিনার কারচুপির পদ্ধতিকে ভারত সমর্থন করেছে। আর এ কারণেই ভারতের ওপর ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের মানুষ। আমরা চাই না ভারত আমাদের শত্রু হোক। আমরা সবচেয়ে কাছের বন্ধু হতে চাই, তাই ভারত তার নীতি পরিবর্তন করুক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার একমাত্র সমাধান গণতন্ত্রে ফিরে আসা। তিনি দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। যা শেখ হাসিনার আমলে হয়নি।
ছাত্র আন্দোলনে ভারতের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করে ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও ভারত ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টিকে বাংলাদেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এমন কাউকে সমর্থন করেছে যে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি খুবই আহত হয়েছিলাম, যখন ভারত ছাত্র আন্দোলনকে বলল, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু করতে পারব না। আমরা কিন্তু তখন সারা বিশ্বের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, বাংলাদেশের নিরীহ ছেলেদের তাদের সরকারই গুলি করে মারছে, আমাদের সাহায্য করুন, ভারত না করে দিল।
তিনি বলেন, পুরো ইস্যুতে ভারতের নীরবতা বাংলাদেশিদের ক্ষুব্ধ করেছে। নয়াদিল্লি শেখ হাসিনার কাজের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান নেয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আপনার প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে আপনি বলতে পারেন না যে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে যদি আমাদের ক্ষতি হয়, তা হলে তা আপনাকেও আঘাত করবে। কারণ বাংলাদেশে যদি বিশৃঙ্খলা ও হিংসা ছড়ায়, তাহলে তা সীমান্ত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। এটা তখন আটকানো যাবে না।