টানা ৩ মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামীলীগ দল। এই দলের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তার শাসন আমলে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সরকারের নানা উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে বেশ কিছু কথা জানালেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রতি মঙ্গলবার আমরা একনেক সভায় বসে থাকি। সভায় অনেকগুলো গেম চেঞ্জিং প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক অপচয় হচ্ছে, দুর্নীতিও হচ্ছে, এটা বলে লাভ নেই। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে উন্নয়নের একটা সূর্যোদয় হয়েছে, একটা মহা উন্নয়ন দেখা দিচ্ছে।’ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) নগরীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মেজর সালেক চৌধুরী বীর উত্তম কানফারেন্স হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ বছর ধরে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। দেশের মানুষের সুখ-শান্তি দেখা তার শান্তি। সময় এখন আমাদের। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করছি। সঠিক সময়ে আল্লাহ আমাদের বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন। পাকিস্তান আমাদের শেষ করে গেছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে। সব থেকে অপরাধবোধ তাকে আমরা হ/ত্যা করেছি, এই অপরাধ বোধ সবসময় বয়ে বেড়াতে হবে। দেশে সম্পদ বেড়েছে। কোন দল করি এটা বড় বিষয় না, দেশ তো একটাই। দেশের উন্নয়নে আমাদের একটা ইউনিটি দরকার। এই দেশের মাটির স্বাধীনতায় ও জাতির পরিচয়ে আওয়ামী লীগ জড়িত। দলের একজন হতে পেরে আমি গর্বিত।
ঢাকায় চাপ বাড়ছে দাবি করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সবকিছু আমাদের ঢাকায়, ঢাকায় অসহনীয় পরিবেশ। সবাই ঢাকায় আসতে চান। গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের টিচার, তিনিও ঢাকার ডিজি অফিসে আসতে চান। বদলি, প্রমোশন, বেতন বাড়ানো নানা কাজে ঢাকায় আসতে হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, ডিজি ভূমি, অনেক কিছুই ঢাকায়। ক্ষমতার কেন্দ্রেীভূত করে আমরা ঢাকায় বসে আছি। মন্ত্রীরা, সচিবরা, ডিজিরা এমন অন্যান্য শ্রেণীর যারা আমরা কাজ করি সবাই ঢাকায়। এটার ভালো-মন্দ বলার ক্ষমতা আমার নেই বলাও উচিত না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই ইনোভেটিভ পারসন, তিনি এটা ভাঙতে চান। তবে কারোর একার পক্ষে এটা সম্ভব না। সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রাইমারি স্কুল দেখি। এগুলোও উন্নত হচ্ছে। আমাদের মা-চাচিরা এই সুযোগ-সুবিধা পাননি। তবে এখন গ্রামের মায়েরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। আমরা গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন করতে কাজ করছি। সেজন্য প্রয়োজনীয় কাজ করছি। গ্রামে গ্রামে স্কুল তৈরির হিড়িক পড়ে গেছে, মায়ের নামে বাবার নামে স্কুল করার জন্য আমার কাছে আসে। সবাই বলে এমপি সাব স্কুল করতে চান। এতে বোঝা যায় এটা ব্যবসায়ীক দিক নয়। এটা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। কিন্তু আজীবন এটাকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। হাইস্কুল, কলেজ, সেকেন্ডারি স্কুলগুলা বেতনভাতা দিয়ে চলে। কয়েক হাজার পেন্ডিংও আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আমারও কিছু আবেদন আছে। গ্রামীণ উন্নয়নেও সবকিছুই হচ্ছে। সরকার গ্রামের উন্নয়নে নজর দিচ্ছে। গ্রামকে শহরে রূপ দিপে নানা পরিকল্পনা চলমান।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের গ্রাম-শহর সকল স্থানেই উন্নয়নের ছোঁয়া বিরাজমান। এমনকি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশ জুড়ে উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্প চলমান। ইতিমধ্যে অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার মোকাবিলা করছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ।