দেশে কয়েক ধাপে জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ কারন জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে সকল ধরনের খাতে এর প্রভাব পড়বে। এ বিষয়ে আ.লীগের দূর্নীতি ও লু”টপাটকে দায়ী করেছে বিএনপি। জ্বালানী তেলের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরব হলেন, তিনি বলেছেন, যখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দেশে যখন অস্থিরতা চলছে, ঠিক সেই সময় বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার দল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কী করবে, সেটা জানালেন।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
দাম সমন্বয় করতে দেশে হঠাৎ করে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে সরকার। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে। ফলে বিদ্যুৎ, কৃষি ও শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এ অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
১. বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর সরবরাহে দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ সমস্ত কালাকানুন বাতিল করা হবে
২. ভাড়া/কুইক রেন্টাল কোম্পানির সাথে চুক্তির নবায়ন বন্ধ/বাতিল করা হবে।
৩. স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে।
৪. চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
৫. উৎপাদন ও চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন শীঘ্রই স্থাপন করা হবে।
৬. বাপেক্স এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে দেশীয় খনিজ ও গ্যাস আহরণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে দেশীয় প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৭. বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য গ্যাস/পেট্রোলিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ আহরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৮. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শা”স্তির ব্যবস্থা করা হবে।
৯. দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে টেকসই ও নিরাপদ করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট উৎপাদনের ৫০% নবায়নযোগ্য শক্তি ভিত্তিক শক্তির নীতি গ্রহণ করা হবে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
১০. বেস লোড পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে কম খরচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে।
১১. প্রয়োজনীয় মেরামত ও ওভারহোলিংয়ের মাধ্যমে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে উৎপাদনের উপযোগী করা হবে।
১২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষিত বিএনপি ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর সেটা পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। যার কারণে সকল ধরনের পণ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ। দেশে কোনো পণ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে আর সেই হারে সেটা আর কখনো কমে না এমন প্রবণতা রয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক অঙ্গনেও এর প্রভাব পড়তয়ে শুরু করেছে, যেটা নিয়ে ইস্যু সৃষ্টি করছে রাজনৈতিক দলগুলো।