গেলো মাস খানিক ধরে রাষ্ট্রের আনাচে কানাচে শুধু একটাই আলোচনা ছিল আর তা হলো কে হচ্ছে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে ছিল না জল্পনা কল্পনার শেষ। একে একে বেশ কয়েকটি জোরালো নাম এসেছিলো দেশে। কিন্তু সব জল্পনাকে ভুল প্রমাণ করলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ড. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সবার চোখ ছিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে। নতুন রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত অনেকের নাম নিয়েও ছিল নানা আলোচনা। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নাম এলে চমক দেখা দেয় সব আলোচনায়।
অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় এখন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন নীরবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির ঘোষণার অপেক্ষায়। বিধান অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থী বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে বিবেচিত হলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এখন প্রক্রিয়াটি শেষ করার সময়।
যেহেতু তিনি রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী, তাই আর কোনো ভোটের প্রয়োজন নেই। বুধবার দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ করে আছে।
তিনি বলেন, আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ড. কারণ, তিনি আমাকে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।’
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া কারও মনোনয়নপত্র জমা হয়নি। আগামীকাল সোমবার বিকেলে প্রার্থী বাছাইয়ের পর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন। এর আগে আজ বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহাবুদ্দিন চুপ্পুরের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান স্পিকার শিরিন শারমিন ছাড়াও রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিল জাতীয় অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। কিন্তু সবাই চাপিয়ে চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি করে একেবারে বড় ধরনের চমক দেখিয়ে দিয়েছে আওয়ামীলীগ।