Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ক্ষমতাসীনদের চাপে ফেলতে জাতিসংঘের নিকট বিএনপির প্রস্তাব

ক্ষমতাসীনদের চাপে ফেলতে জাতিসংঘের নিকট বিএনপির প্রস্তাব

সরকার নিজেদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অপব্যবহার করেছেন। যার ফলে দেশে গু/ম, বিচারবর্হিভূত হ/ত্যাসহ নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। সরকার বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখতে বিভিন্ন কৌশলে দমন-পীড়ন করছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর ওপর। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার শর্তেও কোনো তদন্ত করা হয়নি ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসেনি সরকার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায় বিএনপি বলে মন্তব্য করে এ প্রসঙ্গে যা বললেন।

সরকারকে অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের বিচারের মুখামুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একই সঙ্গে এ প্রক্রিয়া শুরু করে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে সরকারের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রয়েছে বলে বিশ্বাস করে বিএনপি।

বুধবার বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট এবং তার দল ১৪-১৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফর করেন এবং এখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশেষ করে গু/ম, নি/র্যাতন, বিচারবহির্ভূত হ/ত্যা, বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহ নারীর প্রতি সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে লিখিত যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বিরোধীমত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রকাশিত প্রতিবেদনেরই প্রতিচ্ছবি বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, মানবাধিকার হাইকমিশনারের বক্তব্যে দ্ব্যর্থহীনভাবে উঠে এসেছে, গু/ম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হ/ত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন মেকানিজম ও তাদের নির্যাতন বিরোধী কমিটি যে উদ্বেগ তুলে ধরেছেন তার অনেকটাই র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে এবং এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহিতা না থাকা বিষয়ে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, তিনি তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, এসব অভিযোগ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের ওপর জোর দেন। একই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা খাতের সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। হাইকমিশনার স্পষ্টভাবে বলেছেন, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি গুম, যথাযথ আইনি ব্যবস্থা এবং বিচারিক রক্ষাকবচ না থাকার অ্যালার্মিং অভিযোগ আছে। বিশেষ করে ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি না হওয়া এবং ন্যায়বিচারে অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা দেখেছি, গু/ম এবং বিচারবহির্ভূত হ/ত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ও বিশেষায়িত পদ্ধতি তৈরি করতে আহ্বান করেছেন যারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত নিশ্চিতে সহযোগিতা করার জন্য তার কার্যালয় তৈরি আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, গুম সংক্রান্ত জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপকে এই বিষয়ে আমন্ত্রণ জানালে তা হবে এটা সমাধানের জন্য সরকারের সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। এছাড়াও, তিনি এখন থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত বিষয়টি থাকার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সরকার কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

About Babu

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *