সম্প্রতি এক মহিলা প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচানার সৃষ্টি হয়। ঘটনা সূত্র জানা যায়, বগুড়া ( Bogra ) জেলার সারিয়াকান্দি ( Sariakandi ) উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে জুতাপেটা করেছেন স্কুল কমিটির সভাপতির স্ত্রী।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রতিবেশীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ( Tuesday afternoon ) সারিয়াকান্দি ( Sariakandi ) উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
কুতুবপুর সরকার ( Government )ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল গফুর ( Md. Abdul Gafur ) সরকার ( Government ) জানান, ২৫ মে সকাল ( May morning ) সোয়া ১১টার ( ১১টার ) দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মামদুদুর রহমান রিপনের ( Mamdudur Rahman Ripon ) স্ত্রী জান্নাতুল ( Paradise ) মাওয়া লিজা ( Liza ) (৩০) তাকে ক্লাসরুম থেকে ডেকে অফিসে নিয়ে যান।
কিছু অভিভাবক, শিক্ষক এবং কর্মীদের সামনে, লিজা ( Liza ) আমাকে বলেছিল যে আমার নামে একজন মহিলা কেলেঙ্কারি হতে পারে। সে আমাকে অন্য স্কুলে যেতে বলেছিল। এক পর্যায়ে লিজা ( Liza ) তার জুতা দিয়ে আমাকে প্রহার করে।
জুতা দিয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রহার করার কথা স্বীকার করেছেন লিজা। তিনি বলেন, পরে বিষয়টি মিটে গেছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি সমস্যার সমাধান করেছেন। লিজার স্বামী বিদ্যালয়ের সভাপতি মামদুদুর রহমান রিপনও দায় স্বীকার করেন।
এটা তখনই আমাদের নজরে আসে। একটা সমঝোতা হয়ে গেছে। আবার কী পদক্ষেপ? তবে চুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম সুজন। সভাপতির ভাষ্যমতে, ঘটনাটি জানার পর তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষককে আঘাত করার ঘটনাটি দুঃখজনক। বিচার নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা ভুল ছিল। আমি কমিট করিনি।
ঘটনার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সারিয়াকান্দি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফজলে নুর নান্নু জানান, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করবেন। এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্কুলে এক ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
রোববার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানান শিক্ষক নেতা ফজলে নূর। এরপরও আসামিদের গ্রেপ্তার না হলে লাগাতার ধর্মঘটে যাবেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে জাহানুল ইসলাম স্কুলের সহকারী শিক্ষক রমজান আলী, ফজলে নুর ও সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির স্ত্রী হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে আইনের লোকেরা এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থ গ্রহন করনি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকও বেকে বসেছেন ন্যয় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত সে মানব বন্ধন কোনভাবেই বন্ধ করবেন না। এই ঘটনা ওই নারীর এমন কর্মকান্ডে নিন্দা জানিয়েছেন ওই এলাকার অনেকেই।