দেশের সাধারন মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিলে অসংখ্য ভুগান্তিতে পড়ে। কিন্তু সে বিষয়ে কতৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যাথাই দেখা যায় না। অথচ ওষুধের দোকান ২৪ ঘন্টা কেন খোলা থাকবে তার যুক্তিকতা খুজে পাচ্ছে না। হঠাৎ যদি কোন রুগির ওষুধের দরকার হয় গভীর রাতে তাহলে সে কোথায় যাবে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা পাঠকদের জন্য নিচে সেটি তুলে ধরা হল।
‘রাতে হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না’ ইহা মোটেই সত্য নহে।
* ‘ডাক্তার না থাকলে ওষুধ লাগে না বা কিনতে হয় না’ ইহাও ডাহা অসত্য।
* সরকারি হাসপাতালের নিজস্ব ওষুধের দোকান নেই।হাসপাতালের বাইরের ওষুধের দোকানগুলোই ভরসা।এসব হাসপাতালেই দেশের কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা নেয়,শত অভিযোগ সত্ত্বেও।
* হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ওষুধ দেয় না।বাইরের দোকানও রাত ১২ টায় বন্ধ। মানুষ ওষুধ কোথায় পাবেন? সিটি করপোরেশন দেবে? নাকি মেয়র সাহেব রোগকে নির্দেশ প্রদান করবেন যে,খবরদার রাত ১২ টার পর কাউকে আক্রান্ত করবে না।
রোগকে এই নির্দেশও দিতে হবে যে,যাদের আগেই আক্রান্ত করেছ তাদেরও রাত ১২ টার পর আর কোনো ঝামেলা করবে না।
ক্ষমতাবান মেয়রের কথা রোগ নিশ্চয় শুনবে।
সুতরাং ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে,চিন্তার কিছু নেই
প্রসঙ্গত, দৈনন্দিন জীবন সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে ওষুধ যেটির কোনো বিকল্প নেই সেটি যদি প্রয়োজনের সময় পাওয়া না যায় তাহলে জীবন বাঁচানোই অসম্ভব। কিন্তু কোন যুক্তিতে ওষুধের দোকান রাত ১২ টার পর বন্ধের করার কথা বলা হচ্ছে প্রশ্ন গোলাম মোর্তজার।