মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী, বাংলাদেশের অত্যন্ত একজন গুণি পরিচালকের নাম। বাংলাদেশের নাট্য এবং সিনেমা জগতে তার অবদান অনেক বেশি। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তিনি সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত হন ফারুকী। তবে বর্তমানে তার সময়টা তেমন ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে নিজের বানানো সিনেমা শনিবার বিকেল নিয়ে এখনো বেশ হতাশ তিনি। আর সেই হতাশা নিয়েই এবার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনি তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আমার কত রাত গেছে অনিদ্রায়। কত দিন গেছে ক্ষমতাবানদের দুয়ারে হাত মুছতে মুছতে। কত দুপুর গেছে রাগে অন্ধ হয়ে। কত বছর গেছে নিজের চিৎকার নিজেই গিলে ফেলে। ধন্যবাদ, হে রাষ্ট্র! ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই। সুতরাং, ঠিকই আছে।
তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে ঠিকঠাক সাইজ করার জন্য। ব্যাচেলরের সময় তুমি ভাবছো আমার ছবি সমাজ নষ্ট করে ফেলবে! মেড ইন বাংলাদেশে ভাবছো এই ছবি দেশ ধ্বংস করবে! সুতরাং দেড় বছর সেন্সর জেলে রাখছো! ঠিকই আছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলারের জন্য সেন্সরের জেলটা একটা বোধ হয় কম হয়ে গেছিলো। অপরাধ বিবেচনায় ঐ ছবি আটকে রাখা উচিত ছিলো তিন বছর। যাই হোক শনিবার বিকেলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উঠতে বসতে এইভাবে পিটিয়ে ছাল তোলার জন্য কৃতজ্ঞ।
কিন্তু এইভাবে বোধ হয় পুরোপুরি হবে না। কারন একটা ছবি ভাবা হয়ে গেলে তো সেটা দুনিয়াতে এগজিস্ট করে গেলো। বানানো হলে তো আরো শক্ত ভাবে এগজিস্ট করলো। আজ হোক কাল হোক সেটা তো দেখে ফেলবে মানুষ। তাই বলি কি এমন কিছু একটা করো যাতে ভাবনাটাও বন্ধ করে দেয়া যায়। এমন ওষুধ আবিষ্কার করো, হে রাষ্ট্র, যাতে কারো মনে ক্ষোভ জন্ম না নেয়! কারন সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরো খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেনো ঘৃণায় রুপ না নেয়। কারন কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারনাস্ত্র নাই।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বছর ধরেই সিনেমা বানাচ্ছেন না ফারুকী। আপাতত তিনি খুব বেশি একটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত নন। তবে সংসারে সময় দিচ্ছেন অনেক। নিজের মেয়েকে নিয়েও বেশ ভালো সময় পাড় করছেন জনপ্রিয় এই পরিচালক।