আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের মানুষের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার দেশের মানুষের সাস্থ সেবার মান উন্নয়নের জন্য অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনসহ সাস্থ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। যার কারনে দেশের দরিদ্র মানুষ এখন সাস্থ সেবা পাচ্ছে। শুধু সাস্থ খাতে নয় প্রতিটি সেক্টরে সরকার উন্নয়ন করেছে সেজন্য দেশের মানুষ আগের থেকে অনেক ভালো আছে।
দেশেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে জাতির পিতার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস’।
সোমবার (৮ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তী ও এর ১৪তম সমাবর্তনে কার্যত যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেটের পাশাপাশি কৃতী শিক্ষার্থীরা পান স্বর্ণপদক। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং গবেষণায় অবদানের জন্য সরকার প্রধানদের সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের বলব দেশের মানুষ যাতে সঠিক ও বিশ্বমানের সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে। যদিও আমাদের জনসংখ্যা বেশি, রোগীর চাপ বেশি। বিদেশে একজন ডাক্তার কয়েকজন রোগী দেখেন। আপনাদের অনেক রোগী দেখতে হয় তারপরও কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ক্ষমতা আমার কাছে জনগণের সেবা করার সুযোগ মাত্র। বিলাসিতার নেশায় মত্ত হওয়া না। আপনি যে পেশায় থাকুন না কেন সেবা করুন, এতে আপনি সুখ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী সীতাকুণ্ড কনটেইনার ডিপোতে নি/হতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, সরকার শুধু রাজধানী নয়, তৃণমূলেও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতাবোধ নিয়ে মানুষের পাশে থাকার আনন্দ অতুলনীয়। তাই সেবার ব্রত নিয়ে চিকিৎসার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্যা/ন্সার ও কিডনির সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রোগ বাড়ছে এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। চিকিৎসাক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ানোর তাগিদও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানান, প্রত্যেক বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করবে সরকার।
প্রসঙ্গত, দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত হয়ে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দেবার আহ্বান জানা্ন চিগিৎসকদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি তারপরও আপনারা চেষ্টা করেন কেউ যেন চিগিৎসা থেকে বঞ্চিত না হয়।