সরকার ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।
সব কিছু বিবেচনা করে আলুর খুচরা মূল্য ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করার ২৬ থেকে ২৭ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪-৬৫ টাকা। প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারন করা হয়েছে ১২ টাকা।
তিনি বলেন, বাইরের প্রডাক্ট তেল ও চিনির দাম কেনার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করবো। পাম তেলের দাম চার টাকা এবং সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা ২০ লিটার প্রতি কমবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাঁজার অবজারভেশনে রাখবো। ডিমের দাম বাড়লে আমদানি করা হবে।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে এসব পণ্য বিক্রি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন টিপু মুনশি। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার এবং ডিসি ও ইউনোরা বাজার মনিটরিং করবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা, উপজেলা কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার যথাযথভাবে এবং নির্ধারিত দাম নেওয়া হচ্ছে কিনা তা তদারকি করবে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী সরকার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে। ডিম আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ডিমসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এর আগে অনেক পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও তা নিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা নেই। তবে এবারই প্রথম কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে তিনি বলেন, পূজার সময় ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়। রপ্তানি হবে গড়ে ৫ হাজার টন। গত বছর পাঁচ হাজার টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৫ দিন বা এক মাস এটি রপ্তানি করা হবে। বছরে ৬০০,০০০ টন ইলিশ ধরা পড়ে।