একই কলেজের একই বিভাগের ছাত্রী হওয়ায় মিজান আলী তুহিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তুরুনীর। একপর্যায়ে প্রেমিক তুহিন তার প্রেমিকার সঙ্গে কিছু ‘আপত্তিকর’ ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করেন। এরপর তুহিন তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রেমিকা বিয়েতে রাজি হননি। অন্যত্র বিয়ে করেছে। এরপর ভুয়া আইডি খুলে প্রেমিকা ও স্বামীকে ভিডিও ও ছবি পাঠাতে থাকে তুহিন। এমনকি সেই ছবিগুলো তিনি তার আত্মীয়দেরও দিয়েছেন।
এ ঘটনায় মামলা হলে প্রেমিক তুহিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান আলী তুহিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার বাদী ও আসামি দুইজনই রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রেমিকার সঙ্গে কিছু ‘আপত্তিকর’ ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন প্রেমিক মিজান আলী তুহিন। এরপর তুহিন তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রেমিকা বিয়েতে রাজি হননি। অন্যত্র বিয়ে করেছে। এরপর ভুয়া আইডি খুলে প্রেমিকা ও স্বামীকে ভিডিও ও ছবি পাঠাতে থাকে তুহিন। এমনকি সেই ছবিগুলো তিনি তার আত্মীয়দেরও দিয়েছেন।
এনিয়ে স্বামী ও বাদীর পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পরে গত বছরের ৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। সেই মামলায় আসামিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিন বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অপর একটি ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, এছাড়াও আরো একটি ধারায় এক বছরের কারদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। অর্থদণ্ড প্রদানে ব্যর্থ হলে তিন মাস করে আরো কারাদণ্ডের আদেম দেওয়া হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।