যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম বাস। বর্তমান সময়ে এই বাসে যাত্রী সুবিধার্থে নানা ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশের এই খাতের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এরই লক্ষ্যে যাত্রীদের সুবিধার্থে বড় পরিসরে কোরিয়ান ৩২০টি এসি বাস কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই বাবদ দজার্ষ করা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।
দেশে দিনে দিনে তাপমাত্রা বাড়ায় অসহনীয় গরমে লোকাল বাসে চলাচলে যাত্রীদের হাঁসফাঁস অবস্থা। এই গরম থেকে যাত্রীদের আরাম দিতে বড় পরিসরে কোরিয়ান ৩২০টি এসি বাস কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত ‘প্রকিউরমেন্ট অব সিএনজি সিঙ্গেল ডেকার এসি বাস ফর বিআরটিসি’ প্রকল্পে সিএনজিচালিত বাসগুলো আনা হবে। তবে এর আগে ২০০৪ সালে ৫২ কোটি ব্যয়ে ৫০টি দ্বিতল সুইডিশ ভলভো বাস কেনা হয়। পরে অযত্ন-অবহেলায় বাসগুলো নষ্ট হয়ে যায়। শেষমেষ বাসগুলো মাত্র ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। কোরিয়ান ৩২০টি এসি বাস কেনার বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের ঋণে ৩২০টি এসি বাস কেনা হবে। বাসে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রাথমিক প্রস্তাবনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে বাসগুলোর পার্টসের ব্যবস্থা বেশি রাখছি, যাতে বাসগুলো ২০ থেকে ২২ বছর সেবা দিতে পারে।
বিআরটিসির প্রস্তাবিত প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, মানুষ যাতে সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারে সেজন্য প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বাস কেনার বিষয়ে অনেক অভিযোগ শুনতে পাই। কিছুদিন না যেতেই বাসগুলো ভেঙে পড়ে, নষ্ট হয়। জনগণের টাকায় কেনা বাসগুলো যাতে দীর্ঘদিন সেবা দিতে পারে সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য কোরিয়ায় প্রস্তাব পাঠিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ান সরকারের মধ্যে বিষয়টি আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে। জানা গেছে, প্রকল্পটির প্রাক্কলিত মোট ব্যয় ৬০০ কোটি টাকা ধরা হলেও সরকার অর্থায়ন করবে ১৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ৪৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তার সরকারের আামলে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মানান।