কাতারে চলমান ফুটবল বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলেছে। বিশ্বকাপ আরম্ভ হওয়ার আগে থেকেই নানা ধরনের বিষয় নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কিছুদিন আগে ব্রাজিলের সাথে একটি ম্যাচ চলার সময় ড্রেসিংরুমে কসোভোর একটি জাতীয় পতাকা টানানোর পর সেটা নিয়ে বিদ্বে”ষমূলক কথা বলেছিল বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া আরেক দেশ সার্বিয়া। কসোভো এই বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করার পর সেটা নিয়ে ফিফা বড় ধরনের দ্বিধায় পড়ে যায়। এবার গ্যালারি থেকে মাঠের খেলোয়াড়কে বাজে মন্তব্য করায় ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি।
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (২৭ নভেম্বর)। এদিন বিশ্বকাপের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কানাডা ও ক্রোয়েশিয়া। যদিও ম্যাচটি ক্রোয়েটরা ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল কানাডাকে। তবে এই ম্যাচ যে সময় চলছিল সেই সময় ঘটে অনাকাঙ্খিত এক ঘটনা।
ম্যাচ চলাকালীন এক পর্যায়ে গ্যালারিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া সমর্থকরা কানাডিয়ান গোলরক্ষক মিলান বোরজানকে গালিগালাজ করেন। এমনকি তার স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছেন ক্রোয়াট সমর্থকরা। ম্যাচ চলাকালীন বোরজানকে অপমানিত করারও চেষ্টা করে তারা।
এই ঘটনায় সর্বশেষ রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তবে এই তদন্ত কবে শেষ হবে এবং ক্রোয়েশিয়া ও তাদের সমর্থকরা কী ধরনের শাস্তি পাবে তা জানা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিলান বোরজানকে গ্যালারি থেকে তুর্ক উল্লেখ করে বাজে বাজে মন্তব্য করা হয়। এমনকি তাকে উস্তাশা বোরজানও বলা হয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “এ ধরনের ঘটনায় ক্রোয়েশিয়া দোষী সাব্যস্ত হলে নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন শাস্তি হতে পারে।” বিশ্বকাপ থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারে ক্রোয়াট ভক্তরা।
মিলান বোরজান যিনি কানাডার গোলরক্ষক তিনি জন্মগ্রহণ করেন ক্রোয়েশিয়ার কিনেন নামক এলাকায়। কিন্তু সেই সময় সেখানে পরিচালিত হয় ‘অপারেশন স্ট্রম’ নামের অভিযান। এই ঘটনায় তারা সপরিবারে কানাডায় চলে যান। এদিকে তার পূর্ব পুরুষদের জন্মস্থান হলো তুরস্কে। তিনি কানাডায় গিয়ে বিভিন্ন ক্লাবে খেলাধুলা শুরু করেন এবং এক সময় জাতীয় দলে খেলতে শুরু করেন।