ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে মেট্রোরেলের পিলারে আঁকা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক গ্রাফিতি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে এই কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয় তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতি জুলাই বিপ্লবের একটি প্রতীকী চিত্র। এটি তাদের কাছে “ঘৃণা স্তম্ভ” হিসেবে বিবেচিত। শিক্ষার্থীদের দাবি, গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশে এ গ্রাফিতি মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রক্টর স্যার জানান, গোয়েন্দা সংস্থা শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। পরে সিটি করপোরেশন এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ এ কাজ শুরু করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। এনএসআইয়ের প্রেসক্রিপশন নাকি ‘র’ এর প্রেসক্রিপশন, এসব আমি চিনি না। কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মুছে?”
এ ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ এবং উমামা ফাতেমার পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এ ঘটনাকে রাজনৈতিক নিপীড়নের একটি প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সিটি করপোরেশনের কর্মীরা মধ্যরাতে ক্রেন নিয়ে এসে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির মাথা এবং শেখ মুজিবের সম্পূর্ণ গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা চালায়। তবে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে হাসিনার গ্রাফিতি পুরোপুরি মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তাদের আপত্তি এবং প্রতিরোধ না থাকলে পুরো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হতো। ঘটনাটি এখন ক্যাম্পাসের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় আলোচনায় পরিণত হয়েছে।