বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে দেশের মানুষের মনে কৌতূহল দিন দিন বাড়ছে। কারণ এবারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তবে কোন মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরে (২০২৩) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, কিছু অনিয়ম হলেও সার্বিকভাবে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপনির্বাচনে উপস্থিতির হার তুলনামূলক কম ছিল। ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। ৬টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী ছিলেন। ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২১৭ জন।
দেশের সংবিধান অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় সংসদের (জাতীয় সংসদ) সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংসদে ৩৫০ জন সদস্য রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩০০ জন সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন এবং ৫০ জন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত হন। নির্বাচন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করে।