শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা যেসব অধিকার পাওয়ার কথা, তার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি বাংলাদেশে। পশ্চিমা ক্রেতা-প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে পোশাকের ন্যায্যমূল্য দেয়, তা নিশ্চিতে তাদেরকে চাপ দেয়া উচিৎ বলছেন বিজিএমইএ নেতারা।
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী দেশের শ্রমিকরা যে অধিকার পাওয়ার কথা, তার কোনো লঙ্ঘন হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞার কোনো হুমকি দেখছেন না তারা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “বাণিজ্য খাতে কোনো নিষেধাজ্ঞার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমেরিকা ডব্লিউটিওর সদস্য, আমরা সদস্য। কোনো দেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার অনেক নিয়ম আছে, এখানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমাদের কোন শ্রম আইন লঙ্ঘন নেই, তাহলে আমাদের কেন উদ্বিগ্ন হতে হবে।”
এদিকে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করতে, বাংলাদেশের শিল্পমালিক ও সরকারকে চাপ দেয়ার আহবান জানিয়ে আমেরিকান অ্যাপারেল এন্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনকে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন দেশটির কয়েকজন কংগ্রেসম্যান। এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পশ্চিমা ক্রেতারা যাতে পোশাকের ন্যায্যমূল্য দেয়, তা নিশ্চিত করতে তাদের চাপ দেয়া উচিৎ।
ফারুক হাসান বলেন, “ওনাদের যে ভায়াররা আছে তাদেরকেও একইভাবে জানাতে হবে বাংলাদেশে যে অর্ডারগুলো তারা দেয় সেখানে যেন ফেয়ার প্রাইস অফার করে।”
বিশ্বের শীর্ষ ২৩টি পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী কারখানা বা লীড সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ২১টিই এখন বাংলাদেশের বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।