দেশীয় চলচ্চিত্রে আলেকজান্ডার বো একটি পরিচিত নাম। তিনি অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে তিনি একজন বিনয়ী, ভদ্র ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি, একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে এই নায়ক আসলে কোন ধর্মের তা জানিয়েছেন।
ওই ভিডিওতে আলেকজান্ডার বো বলেছেন, আসলে আমার ধর্ম ইসলাম। আমার নাম শুনে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যায় আমি কোন ধর্মের। আসলে আমার পারিবারিক নাম নজরুল ইসলাম স্বপন। আমি যখন প্রথম চলচ্চিত্রে আসি তখন আমার ‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবির প্রযোজক শহীদুল ইসলাম খোকন ও ফরিদী ভাই আমাকে আলেকজান্ডার বো নাম দিয়েছিলেন। যেহেতু আমি চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসেছি তাই আমার পারিবারিক নাম নায়কখচিত মতো মনে হয়নি। নামটির মাঝে একটু কবি কবি ভাব ছিল। তাই তারা সবাই মিলে নামটি পরিবর্তন করেন। আর আমার নির্মাতার পছন্দের একজন নায়ক ছিল। যিনি হংকংয়ের মার্শালাটের একজন হিরো ছিলেন। সুতরাং সেই সময় তার নামের সঙ্গে মিল রেখেই আমার নাম রাখা হয় আলেকজান্ডার। আর আমি যেহেতু মার্শালাট থেকে এসেছি সেই ক্ষেত্রে আমাদের যে সম্মান দেওয়া হয় মার্শালাটে সেটাকে জাপানি ভাষায় বো বলা হয়। সেই স্থান থেকে বো নামকরণ করা হয় আলেকজান্ডার বো। আর তখন থেকেই আমি এই নামেই দর্শকদের কাছে পরিচিত হই।
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পসংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলেকজান্ডা বো। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএফডিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জয়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন তিনি শামসুল আলম ও মোঃ ইকবাল হোসেন। এই প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মোজাহারুল ইসলাম ওবায়েদ, এম এ কামাল, শবনম পারভীন, আবদুল্লাহ জেয়াদ, কামাল উদ্দিন আহমেদ, রকিবুল আলম রকিব, আলেকজান্ডার বো ও জাহাঙ্গীর শিকদার।
নির্বাচন প্রসঙ্গে আলেকজান্ডার বো বলেন, আমি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয় করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সদস্যদের ভালোবাসায় নির্বাচনে জয়ী হতে পারব বলে আশা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, আলেকজান্ডার বো ১৯৯৫ সালে শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘লম্পট’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবিতে সিমলার বিপরীতে আলেকজান্ডারের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
আলেকজান্ডার ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ছয়বার জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতা জিতেছেন। প্রতিবারই তিনি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তিনি ১৯৯৭ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান কারাতে চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে, তিনি রাশিয়ায় ইউরোপীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন এবং রানার আপ হন। ১১ তম দক্ষিণ কোরিয়া ওপেন এবং ৩০ তম বুসান মেয়র কাপ কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৮, ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া সহ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১৩টি দেশকে হারিয়ে চমক