বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের কাছে আকবার জানিয়েছেন । দল সমালোচনা পছন্দ করে না। তাই বলছি সমালোচনা পছন্দ করুক আর না করুক আমার তাতে কিছু যায় আসে না। আমি নিজের খেয়ে ধানের শীষ করি ধানের শীষ খেয়ে বিএনপি করিনা। তিনি আরও বলে আমি রাজনৈতিক টকশোতে যাই না তার কারণ ওখানে নিজের মত কথা বলা যায় না। তার মধ্যে উল্টোপাল্টা কথা বললে ডিজিটাল মামলাতো রয়েছেই। এই ধরনের একটি মামলা আমার কাঁধে রয়েছে সাথে আরও বোনাস মামলা করেছে আমার বিরু/দ্ধে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও মাগুরার উপ-নির্বাচন গণতান্ত্রিক বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে বিব্রত করেছে। ২১শে আগস্টের জ/ঘন্য গ্রে/ন ‘/ড হা/মলাকে ভিন্ন খাতে মোড় নেওয়ার চেষ্টাও ছিল জ/ঘ‘ন্য। পরে দলটির শীর্ষ নেতারা বিষয়টি স্বীকার করেন। তখন ফে/সবু’ক ছিল না, আমিও একজন রাজনৈতিক শিক্ষানবিশ ছিলাম।
১৫ ফেব্রুয়ারির কমেডি নির্বাচনে বিএনপিতে যোগদানকারী হাইব্রিডদের উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে। কুমিল্লা বিএনপির বর্তমান শিকড়হীন আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ২০০৯ সালের সংসদ নির্বাচনে তার পক্ষে লবিং করা আমার ঐতিহাসিক ভুল ছিল। আমাকে এর প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে।
বিএনপির একটি বড় অংশ এখনো উচ্চ পদে মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িত। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে দলটি নির্বাচনে না গেলেও কেন্দ্র থেকে পদ পাওয়া বিপুলসংখ্যক স্থানীয় বিএনপি নেতা সমর্থন দেওয়ার নামে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। প্রমাণও আছে। এরাই বিএনপিতে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী নেতাদের আয়ের উৎস।
ক্ষমতাসীন সরকারের অনেক সমর্থক আমাকে পছন্দ করে কারণ তারা আমার গান ভালোবাসে। বিভিন্ন সময় দলে দেওয়া রাজনৈতিক পদের জন্য বিপাকে পড়েন, বিতর্কও করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগও বিএনপির মতো হাইব্রিডদের দখলে চলে গেছে। অতি উৎসাহী নব্য আওয়ামী লীগাররা গত ১৩ বছর ধরে আমাকে নি/র্যাত/ন করে আসছে। এছাড়াও ;আই হেট পলিটিক্স টাইপ আইটেম আছে। বি/প/দে পড়লে তদবিরের খাতিরে নেতাকে চেপে ধরে, তখন এই কথাটা আর মনে থাকে না।
অন্য কেউ আছেন যারা বলছেন শিল্পীদের রাজনীতি করা ঠিক নয়। এরা হল চূড়ান্ত ডাবল স্ট্যান্ডার্ড শয়তান। আওয়ামী লীগ করলে তা আবার তাদের হিপোক্রে/টিক মান/সিকতার সাথে মিলে যাবে। আমি এখনো আমার নেত্রী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আমার দ্ব্যর্থহীন আনুগত্য প্রকাশ করছি। ২০০১ সালে, বিএনপির রাজনীতি আমার গানের ক্যারিয়ারকে ধ্বং/স করে দেয় এবং আমার পরিবারও ভ্রমণ করে।
আওয়ামী এজেন্টরা যারা দলকে আক্রমণ করেছিল তারা এখনও শক্তিশালী। আমার নেতা শহীদ জিয়া বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। আমি দেশের জন্য।
আকরার তার নেতা রাখাল রাজার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার নেতা শহীদ জিয়ার অনুগত একজন সৈনিক, তিনি উনিশ দফার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তিনি আরও বলেন নিজ কাজে কখনো রাজনীতিকে ব্যবহার করবোনা। বিগত দিনে বিএনপির শাসন তারই প্রমাণ। আওয়ামী এজেন্টরা যখন আমাদের দলকে আ/ক্র’মণ করে তখন বুজতে পারি তারা এখনও শক্তিশালী। আমার নেতার একটা কথা মনে পড়ে ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে আমার দেশ বড়। আমি সুধুই দেশের জন্য। অবশেষে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।