গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিশা-মুশতাক আলোচিত দম্পতির নাম। একুশে বইমেলায় তাদের প্রেমের সম্পর্কে একটি বইও প্রকাশ করেন মোশতাক। মেলার মাঠেও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হন তিশা-মুশতাক। এ দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, মোশতাক তিশাকে বিয়েতে রাজি হতে বাধ্য করেন। তিনি মুগদা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ করার পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের সঙ্গেও দেখা করেন তিশার বাবা সাইফুল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খন্দকার মোশতাক আহমেদ তাকে হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে মুশতাককে তিশার বাবার অভিযোগ এবং থানায় দৌঁড়ঝাপ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। বিয়ের এত দিন পর তিশার বাবা এসব করছেন- এমন প্রশ্ন করা হলে মুশতাক বলেন, কারণ তিনি ভালো বলতে পারেন। তবে আমাদের কথা হলো, উনি আসলে… আমি এসব কথা এখন বলতে চাই না। দেশে আইন-কানুন আছে। আগে আমি আমার উকিলের সাথে কথা বলি। উনি ১১ মাস পরে কেনো এসব নিয়ে কথা বলছে? উনি বলছে যে, এখন উনি মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করছে। কিন্তু উনিই উনার মেয়ের নামে ৩টা মামলা করেছে। মেয়ের কথা চিন্তা করে কি কেউ রে”প কেস করে? উনার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, সেখানে গিয়েছিলাম, তিশা নিজ দায়িত্বে আমার সঙ্গে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে তিশাকে ছি”নিয়ে নিতে সে তার স্বজনদের নিয়ে আসে। তখন তিশা বলে, তারা তিশাকে জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় সেখানে পুলিশ, সাংবাদিকসহ আরও অনেকে ছিলেন। তারা তিশাকে জিজ্ঞেস করলে- কোথায় যাচ্ছেন? তারপর তিশা দৃড় কন্ঠে বলে- আমি আমার স্বামীর সাথে যেতে চাই। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোর্টের নির্দেশ নিয়ে বলেছে- আপনারা এদের বাধা দিবেন না। তখন আমি তিশাকে নিয়ে ঢাকা চলে আসি। সব কিছুর ভিডিও আছে। ওর বাবা তো তখন ওখানেই উপস্থিত ছিল। ওর বাবাও তো হাইকোর্টে উপস্থিত ছিল। তাকে সেই সময় হাইকোর্টে প্রশ্ন করা হয়- তাকে কি অপহরণ করা হয়েছে? আদালতে সবার সামনে তিশা বলেছে- তাকে অপহরণ করা হয়নি। সে স্বেচ্ছায় আমাকে বিয়ে করেছে।