নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের তিন দিন পরও এলাকা ছাড়েননি এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার; কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রধান তিন প্রার্থী ছাড়াও তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের ভাষায়, বাহারকে সাক্কুর এলাকা ছেড়ে যেতে বলেছে, যা মেনে নেওয়া যায় না এবং কুমিল্লার মানুষ মেনে নেবে না।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপি একিউএম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে আবারো অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
শনিবার (১১ জুন) বিকেলে তিনি কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরীর কাছে নতুন দুটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সাক্কুর ব্যক্তিগত সহকারী কবির হোসেন বিষয়টি দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যকে নিশ্চিত করেছেন।
নিয়ম লঙ্ঘন করে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশের কারণে উল্লেখিত শিক্ষক ও ইমামগণ প্রচার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এটা সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ”
অপর এক অভিযোগে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং মাননীয় সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে সিটি করপোরেশনের আওতাবহির্ভূত এলাকার জনপ্রতিনিধি, দলীয় কর্মী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জনসমাগম, মিছিল ও শো-ডাউন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও নির্বাচনের দিন বহিরাগতদের দ্বারা জনসমাগম ঘটিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। যা আচরণবিধির লঙ্ঘন।
কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী দেশের একটি অন্যতম গনমাধ্যকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর কাছ থেকে দুটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা দেখছি কি করা যায়। ”
এর আগে গত ৬ জুন সন্ধ্যায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এখনো নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনরের নির্দেশনা অপেক্ষা করে সংসদ সদস্য বাহার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কুর। সাক্কু আরও বলেন, তিনি নির্বাচনের কোন আইন মানছেন না বিভিন্ন জনসভা, মিটিং মিছিল করছেন।