আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। সোশ্যাল মিডিয়া এবং রিয়েল মিডিয়া উভয় ক্ষেত্রেই এই শিক্ষক একটি আলোচিত বিষয়। সম্প্রতি, শিক্ষক ক্লাস ৭ পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারদের একটি অধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে আসিফ মাহতাবের বেশ কিছু পুরনো ছবি ভাইরাল হয়েছে। আসিফ মাহতাবকে ওই ছবিতে বেশ কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে হাসতে দেখা যায়। একটি ছবিতে তাকে মদের গ্লাস হাতে দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ওই মেয়েরা কি আসিফ মাহতাবের বান্ধবী? কেউ কেউ নিশ্চিতভাবে বলেন, ওপেন রিলেশনশিপ। মেয়েদের সঙ্গে আসিফকে বেশ সাবলীল দেখা যায়।
কিন্তু আসিফ বলে ওই মেয়েগুলো তার গার্লফ্রেন্ড নয়। তার বোন আর খালা। সে মেয়েদের স্পর্শ করে না। প্রবাসী সাংবাদিক সাইফুর সাগর একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসে ছবিটি নিয়ে একথা বললেন।
হাতে মদের গ্লাসের ছবি নিয়ে আসিফ মাহতাব বলেন, যে গ্লাসের কথা বলছি তা আসলে আপেলের জুস। ইউনিভার্সিটির ছবি দেখলে সেটাই আমার বৃত্তি গ্রহণ অনুষ্ঠান। এক গ্লাস ওয়াইনে জুস আছে। আমি আমার জীবনে কখনও মদ স্পর্শ করিনি।
মেয়েদের সঙ্গে ছবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আসলে কোনো মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া পছন্দ করি না। মেয়েদের সাথে ছবি তোলার সময় আমি আমার দূরত্ব বজায় রাখি। ছবির মেয়েদের নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহতাব বলেন, একজন আমার বোন আর একজন আমার খালা।
সম্প্রতি রাজধানীর কাকরাইল ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান পাঠ্যক্রমের নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে হিজড়াদের গল্প অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে। এ সময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। মাহতাব তার নিজের ফেসবুকে এই দৃশ্যের একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।