সবার জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার কথা মাথায় রেখে নানা পরিকল্পনা করে চলেছে সরকার। এর আগে গৃহহীন যারা আছেন তাদের জন্য আবাসিক ফ্লাট এর ব্যাবস্থা করে সরকার তবে এবার পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা কোনো জামানত ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। রোববার এ নির্দেশনা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। পরিবেশবান্ধব খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ৪০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির নির্দেশনায় নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ক্রয় ঋণের বিষয়টি যুক্ত হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সুদের হার সব স্তরে এক শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। মোট, গ্রাহকরা বর্তমানে পরিবেশবান্ধব বলে বিবেচিত ৬৮টি পণ্যে এই স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব খাতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন পর্যন্ত ৪ শতাংশ সুদে তহবিল পেত। এখন এক শতাংশ কমিয়ে তিন শতাংশ সুদে টাকা পাবেন তারা।
গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুদের হার হবে পাঁচ বছরের কম মেয়াদের ঋণের জন্য ৫ শতাংশ, পাঁচ থেকে আট বছরের কম মেয়াদের জন্য সাড়ে পাঁচ শতাংশ এবং আট বছরের বেশি মেয়াদের জন্য ছয় শতাংশ।
সহজ শর্তে এবং কম সিমাবদ্ধতার মধ্যে রেখে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তদের বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব বহুতল ভবনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য ১৮ মাসের গ্রেস পিরিয়ড সহ ১০ বছরের ঋণ নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ দেড় বছর পর ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে। ব্যক্তি ও ছোট ইউনিটের সমন্বয়ে বহুতল পরিবেশবান্ধব আবাসন নির্মাণের জন্যও ঋণ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গৃহনির্মাণ কোম্পানি ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। সুদের হার, ঋণের মেয়াদ এবং গ্রেস পিরিয়ড কোম্পানির জন্য একই থাকবে।