ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম, অতঃপর বিয়ের ৬ মাসের মাথায় আলোচিত সেই কলেজশিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মৃত্যুর খবরে স্বামী মো. মামুন হোসেনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতাম। স্বজনদের সাথে সাথে যেন শোকাহত গোটা এলাকাবাসীও। ভালোবেসে সংসার সাজানোর শুরুতেই এক দমকা ঝড় হাওয়ায় যেন ভেঙে গেল খাইরুনের সব আশা-ভালোবাসা।
এদিকে স্থানীয়রা মামুনের মাকে সান্তনা দিচ্ছেন।
মামুনের মা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমার বেটার মত খাঁটি বেটা নেই, কোনদিন কোন মেয়ের দিকে তাকায়নি। কোন খারাপ নেশা নেই। আমার ছেলে একটা মেয়ের পাল্লায় পড়েছে। তিন সন্তানের মা, ৪০ বছর বয়সী। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে ছেলেটি প্রেমে পড়ে বিয়ে করেছে। ঈদের দিন বেটা তার বউকে নিয়ে বাসায় এলো, বেটার বউ আমার পা দুটো একসাথে ধরে বলে, আমাকে ক্ষমা করুন, আমি তোমাগ বেটার বউ হইছি। তখন আমি ও আল্লাহ কি করবো, কোট-আদালত আজ ঈদের দিন বন্ধ। আজ আমি মাফ না করি তালি আল্লা আমাক মাফ করবি লা। আমি সেই বউকে ক্ষমা করে দিয়েছি। সেই বেটার বউ আমাক থুইয়া কি কইরা গেল রে।
মামুনের সহপাঠীরা জানান, মামুন খুব ভালো ছেলে। আমরা একসাথে পড়াশুনা করেছি।
মামুনের খালা বলেন, মামুন ভালো ছেলে ছিল। ছোট ছাওয়াল যে বড় হয়ে বিয়ে করেছে তা আমরা জানি না।
এদিকে প্রায়ত ঐ শিক্ষিকার ময়নাতদন্ত শেষে সংবাদ মাধ্যমকে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধে তার মৃ/ত্যু হয়েছে। সুতরাং এটা আত্ম/হন/ন বলেই মনে করছেন তারা।