সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারের থাকা ৫ জনের প্রানহানি হলেও সৌভাগ্যবসত এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি। স্বজনদের হারানোর বেদনায় রীতিমতো মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তারা।
সোমবার দুর্ঘটনার পর থেকে তারা উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
মঙ্গলবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার কথা হলে তারা হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন। বাবা-মাকে শেষবারের মতো দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নবদম্পতি হৃদিয়া ও রিয়া মনি।
হৃদয় বলেন, কোথায় সরকার, কোথায় প্রশাসন? এত ব্যস্ত সড়কে তারা এভাবে কাজ করছে, নিরাপত্তা নেই। আজ আমার গাড়িতে পড়ল, অন্যকারও গাড়িতেও পড়তে পারতো, এই দায় কে নেবে। সরকার ও প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন, এর সুষ্ঠু বিচার হোক, আমাদের মত এমন যেন আর কারো সাথে নয়া হয়।
তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে আমরা এখনো কিছু জানি না, আমি অসুস্থ, আমার স্ত্রীও অসুস্থ। আমরা হাসপাতালে ছিলাম, এখনও হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের স্বজনরা মামলাটি দেখছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর সোমবার আমরা হাসপাতালে ভর্তি হই, আমার পায়ে ও পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার স্ত্রী আমার চেয়ে কম ব্যথায় কিন্তু সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তার মা দুর্ঘটনায় মারা যান। আমরা এখনও অসুস্থ কিন্তু আমার বাবা এবং আমার স্ত্রীর মাকে মর্গ থেকে বের করতে এখানে এসেছি।
স্বজনদের দাফন প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, আমার বাবাকে আমাদের গ্রামের বাড়ি মেহেরপুরে দাফন করা হবে এবং আমার শাশুড়িকে আমার মামা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামালপুরে নিয়ে যাবে, সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় গভির শোক জানিয়ে স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি।