হিন্দি গানের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ( Krishnakumar Kunnath ) ওরফে কেকে প্রয়াত হয়েছেন। কলকাতার নজরুল ( Nazrul ) মঞ্চে তিনি গান গাওয়ার সময় মঞ্চেই অসুস্থ বোধ করেন। এরপর তিনি সেখান থেকে বের যান হোটেলে। সেখানে থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি প্রয়াত হন। এই ঘটনায় কলকাতায় তার ভক্তদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রয়ান অনিবার্য। মানুষ চলে গেলেও তার সৃষ্টি থেকে যাবে। ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল, ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পাল…’ গানটির মতোই শ্রোতাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। এই সদা হাস্যোজ্জ্বল গায়ক যখনই মঞ্চে উঠে গানের জগতে পা রেখে, কোটি কোটি ভক্তদের সুরের মুর্ছনায় ভাসিয়ে থাকেন তিনি এখন নীরব। তাঁর নিথর দেহ নিতে স্ত্রী-পুত্র এসেছেন কলকাতায়।
কেকের প্রয়ানের পর তার দীর্ঘ কর্মজীবনের অনেক দিক আলোচনায় এসেছে। অনেক জনপ্রিয় শিল্পী স্টেজ শো-এর পাশাপাশি পারিবারিক অনুষ্ঠানে গান করেন। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। সেখান থেকে আলাদা কেকে। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে গান গাইতে রাজি হননি তিনি।
২০০৮ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেকে এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন। কোটি টাকা দিলেও তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানে গান গাইবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তবে কেন তিনি এ বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তা বলেননি।
গত মঙ্গলবার (৩১ মে) কলকাতায় একটি গানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কেকে। সেখানে গিয়ে গান গাওয়ার মাঝেই অসুস্থ বোধ করেন। হোটেলে ফিরলে গায়ককে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। প্রয়ানকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
গতরাতে স্বামীর এই ধরনের খবর পান কেকের স্ত্রী জ্যোতি। এরপর আজ সকালে অর্থাৎ বুধবার একটি ফ্লাইটে করে তিনি কলকাতায় পৌঁছান। তার সাথে তার বাবার নিথর দেহ নিতে এসেছেন ছেলে নকুল। সকল ধরনের তদন্ত কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে কেকের দেহ নিয়ে তারা মুম্বাই ফিরে যাবেন।