Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কোটি টাকায় বিএনপি ছেড়েছেন প্রশ্নে যা বললেন সেই সৈয়দ ইবরাহিম

কোটি টাকায় বিএনপি ছেড়েছেন প্রশ্নে যা বললেন সেই সৈয়দ ইবরাহিম

বিএনপির সঙ্গে একযোগে আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন এবং আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বলেন, যারা এ সরকারের অধীনে ভোটে যাবে তারা মোনাফেক।

হঠাৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে এক লাফে ভোটে যাওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি গুঞ্জন ওঠে কল্যাণ পার্টির এই নেতা টাকার বিনিময়ে ভোটে গেছেন। এমন গুঞ্জনের জবাবও দিয়েছেন তিনি।

শনিবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সৈয়দ ইব্রাহিম। এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- অনেকেই বলছেন নির্বাচনে যাওয়ার জন্য আপনাকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে?

জবাবে ইব্রাহিম বলেন, বাংলাদেশে গুজব ও অনুমানমূলক তথ্য ছড়ানো সহজ। টাকা লেনদেনের বড় গুজব রয়েছে। ৭৫ কোটি, ৪৫ কোটি, ২৫ কোটি, ১০ কোটি। কোটি টাকা যেন গাছের পাতা, টান দিলেই পাওয়া যায়।

মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি ১৬ বছর ধরে একটি প্ল্যাটফর্মে ছিলাম, এখন আমি একটি ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে চেষ্টা করব। আমি প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করতে পারব না এমন কোন লিখিত চুক্তি করিনি।

তিনি একবার বলেছিলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া রাজনৈতিক আত্মহনন হবে। কেন হঠাৎ আপনার মন পরিবর্তন?

জবাবে ইব্রাহীম বলেন, তখন যে চিন্তা থেকে মূল্যায়ন করেছিলাম, তার আংশিক পরিবর্তন করলাম। যখন দেখলাম, নির্বাচন বর্জন করলে নির্বাচন ও সংসদ বন্ধ থাকবে না। তা হলে কেন আনুষ্ঠানিক সুযোগ নেব না? যে কথা বিভিন্ন টকশো, বিজয়নগর পানির ট্যাংকের নিচে যা বলে এসেছি, তা সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে চাই।

তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে চার বছর বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। আমিও সেই সুযোগ নিতে চাই। বিজয়নগর জলের ট্যাঙ্কের মোড়ে দাঁড়িয়ে সপ্তাহে চার দিন পাঁচ মিনিট কথা বলা আর সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *