সরকারি চাকরি পেয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেন পূজা খেদকর। এছাড়া চাকরি পেতে গিয়ে কোটা জালিয়াতির আশ্রয় নেন তিনি। শিক্ষানবিশ থাকাকালে তার বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ আরও অনেক অভিযোগ ওঠে।
সম্প্রতি এই ঘটনায় ভারতীয় মহারাষ্ট্র ক্যাডারের আইএএস অফিসার পূজা খেদকরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি চাকরি হারাতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় (ইউপিএসসি) বসতে এবং পরবর্তীতে ইন্টারভিউর জন্য তিনি যে নথি জমা দিয়েছেন তা পুনর্বিবেচনা ও পরীক্ষা করবে তদন্ত কমিনি। সরকারি চাকরিতে প্রতারণার অভিযোগে পূজা খেদকারের তদন্তে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) একক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষানবিশ AIS অফিসার পূজা খেদকর দোষী সাব্যস্ত হলে চাকরি হারাতে পারেন।
তিনি ২০২৩ সালের UPSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে চাকরি পাওয়ার পর তাকে তার নিজ শহর মহারাষ্ট্রে বদলি করা হয়। পরবর্তীতে চাকরি হওয়ার পর তাকে নিজ শহর মহারাষ্ট্রে স্থানান্তরিত করা হয়। ৩৪ বছর বয়সী এই আইএএস অফিসার ইউপিএসসি পরীক্ষায় সুযোগ পাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য প্রান্তিক সংরক্ষণ কোটার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার দ্বিবেদী কর্তৃক গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার পুনে থেকে বদলি হওয়ার পর পূজা খেদকর ওয়াশিম জেলা কালেক্টরেটের কালেক্টরেট হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত অডি গাড়িতে লাল বাতির হুটার লাগিয়ে রাখা, অধস্তন কর্মীদের উপর আগ্রাসী আচরণ, অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোরের আগের চেম্বার বলপূর্বক দখলের অভিযোগ রয়েছে।